১ সন্তানের মায়ের দায়ের করা ধর্ষণ মামলার প্রাগপুরের আব্দুস সালাম গ্রেফতার
১ সন্তানের মাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ মামলার আসামি আলমডাঙ্গার প্রাগপুর গ্রামের কলেজ ছাত্র আব্দুস সালামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৬ আগস্ট আলমডাঙ্গা পৌর এলাকা থেকে এ এস আই খসরু আলম তাকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতার আব্দুস সালাম প্রাগপুর গ্রামের ইব্রাহিম আলী ওরফে মাস্টারের ছেলে।
জানাগেছে, উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বোয়ালিয়া গ্রামের লিয়াকত আলীর মেয়ে ১ সন্তানের জননী আদুরী খাতুনের (২৬) প্রায় ১০ বছর আগে মিরপুর আসাননগর গ্রামে বিয়ে হয় । বিয়ের কয়েক বছর পর আদুরী খাতুনের স্বামী রুহুল আমীন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তারপর থেকেই আদুরী তার বাবার বাড়ি বড়বোয়ালিয়া গ্রামেই বসবাস করে। আদুরী খাতুন মাঝে মাঝেই প্রাগপুর নানা বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন। বেশ কয়েক মাস আগে তার নানা বিল্লাল গাইন ওরফে পঁচা গাইন মারা যায়। নানা মারা যাওয়ার পর আদুরী নানা বাড়িতে কয়েক দিন থাকাকালীন প্রাগপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র আব্দুস সালাম(১৮) সাথে পরিচয় হয়।
একপর্যায়ে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর থেকে তারা দুজন প্রায়ই হাটবোয়ালিয়া বাজারে দেখা করতো। লিখিত এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত ২৫ জুলাই রাতে আদুরী খাতুনের মামার ঘরে প্রেমিক আব্দুস সালাম তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কিন্তু ধর্ষণের পর থেকে প্রেমিক তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এমনকি আব্দুস সালাম প্রেমিকা আদুরীর সাথে যোগাযোগ না বন্ধ করে দেয়। কোন উপায় না পেয়ে ২ আগস্ট সোমবার সকাল ৮টার সময়ে সালামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়।
সংবাদ পেয়ে প্রেমিক যুবক আব্দুস সালাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
আব্দুস সালামের পরিবারের লোক প্রেমিকা আদুরীকে মারধর করে বাড়ির থেকে বের করে দেয়। পরে সে বাড়ির সামনে একটি মাচায় অবস্থান নেয়। পরবর্তিতে আদুরী খাতুন আলমডাঙ্গা থানায় এ সংক্রান্ত এজাহার করেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তকালে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আসামিকে গ্রেফতার করেছে। ১৬ আগস্ট সংশ্লিষ্ট মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।