ঝিনাইদহে ইউএনও'র নাম ভাঙিয়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রয়ের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে সদরের সুরাট ইউনিয়ন এর হামদরডাঙা গ্রামে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে নয়ন,আশরাফ ও খাইরুলের বিরুদ্ধে। বালু উত্তোলনের কারণে পুকুরের গভীরতা সৃষ্টি হয়ে স্থানীয়,রাস্তা, বাড়িঘর,ফসলি জমি ভাঙন ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মারাত্মক আশঙ্কা রয়েছে বলে গ্রামবাসিরা জানায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ও জানা গেছে, অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ ৪/৫ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এই নয়ন বাহিনী। এলাকায় তাদের যথেষ্ট রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। যার কারনে স্থানীয় নিরীহ মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে পারছেনা।
বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে হামদরডাঙা গ্রামের বাসিন্দা আকমল হোসেন মোল্লা,মোক্তার হোসেন,ওলিয়ার রহমান,সাবরিনা খাতুন,রিনা খাতুন,সহ এলাকাবাসী বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে বাড়িঘর, ফসলি জমি ভাঙন ও পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মানুষের দু:খ-দুর্দশার কথা চিন্তা না করে ব্যক্তি মুনাফার জন্য পরিবেশ নষ্ট করে জনগণের মুখের গ্রাস ও বসতবাড়ি ধ্বংসের লীলায় মেতে উঠেছেন এই নয়ন বাহিনী। এ ব্যাপারে নয়ন হোসেন বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)অবগত।
সরকারি কাজের জন্য বালু উত্তোলন করছি। ইউএনও সাহেব আমাকে বালু উত্তোলনের লিখিত অনুমতি দিয়েছেন। তবে নয়ন অবৈধ ভাবে বালি উত্তলনের কোনো প্রকার অনুমতি পত্র সাংবাদিকদের দেখাতে পারেনি।ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহিন অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি কাউকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেয়নি। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।