সদ্যজাত পুত্রসন্তানের মুখ না দেখেই করোনার কাছে হেরে গেলেন লাভলু
ঢাকার ডিএমসি হাসপাতালে দীর্ঘ ২৫ দিন করোনা ভাইরাসের সাথে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলেন আলমডাঙ্গা গোবিন্দপুরের টগবগে যুবক সোলায়মান কবীর লাভলু (২৫)। দেখতে পাননি সদ্যজাত পুত্রসন্তানের মুখ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। লাভলু আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম রিফাতের ছোট ভাই। তিনি আলমডাঙ্গা পৌরসভায় টিকাদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা গোবিন্দপুরের মসলেম উদ্দীন বিশ্বাসের ছোট ছেলে সোলায়মান কবীর লাভলু (২৫) আলমডাঙ্গা পৌরসভায় টিকাদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রায় ১ মাস আগে তিনি সর্দিজ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন। সে সময় করোনা টেস্টে তিনি পজিটিভ হন। তার শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হলে ঢাকার ডিএমএস হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। গত ২৫ দিন ওই হাসপাতালে তার ব্যয়বহুল চিকিৎসা চলে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
গত প্রায় ১ মাস ধরে করোনার বিরুদ্ধে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলেন তরতাজা যুবক লাভলু। তার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আলমডাঙ্গা শহর শোকবিহ্বল হয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সর্বত্র এ করুণ মৃত্যু সংবাদ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র ৬ দিন আগে লাভলু পুত্রসন্তানের জনক হয়েছেন। অথচ তখন তিনি ঢাকার ডিএমসি হাসপাতালের বেডে। দেখা হয়নি সদ্যজাত সন্তানের মুখ। লাভলুর মৃত্যুর পর এ মর্মান্তিক দুঃখজনক ঘটনা এখন মানুষের মুখে মুখে।
ভোররাতে লাশ বাড়িতে পৌঁছতে পারে বলে জানা গেছে। কখন লাশ দাফন হবে সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু জানাতে পারেনি কেউ।
মৃত্যুকালে তিনি বাপ-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী, কন্যা ও সদ্যজাত পুত্রসন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন বড় ভাই উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের আহব্বায়ক শরিফুল ইসলাম রিফাত।