সৌদি আরবে জেলে নির্যাতন করা হয় নারী বন্দীদের
নির্যাতন করা হয় বলে দাবি করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এক প্রতিবেদনে মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, জেলে নারী বন্দিদের ইলেক্ট্রিক শক, মারধর, বেত্রাঘাত ও যৌন নির্যাতনের মতো জঘন্য হুমকি দেয়া হয়। নারী ভুক্তভোগী ও একজন গার্ডের সাথে কথা বলে এমন তথ্য প্রকাশ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচসাক্ষাৎকার নেয়া গার্ড বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক নারী অধিকারকর্মীকে এমনভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, ধারণা করা হচ্ছে তিনি বোধহয় মারাই গেছেন। নির্যাতনের পর ওই নারী অধিকারকর্মী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এতে জেলের সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কারণ জেলের মধ্যে কোন বন্দিকে মেরে ফেলার বিধান নেই।
সৌদি আরবের জেলে এমন আচরণের সমালোচনা করেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মিডল ইস্ট অ্যান্ড নর্থ আমেরিকা অঞ্চলের উপপরিচালক মাইকেল পেজ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, নারী অধিকারকর্মী ও হাই-প্রোফাইল বন্দিদের ওপর নির্যাতন সৌদি আরবের আইনের শাসনের অবজ্ঞার শামিল। এসব অভিযোগের সঠিক তদন্তের দাবি জানান তিনি২০১৭ সালের পর থেকে সৌদি আরবে দমনপীড়ন বাড়িয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এর বেশি শিকার অধিকারকর্মীরা। প্রিন্সের এমন আচরণে বহুসময় সমালোচনা কুড়িয়েছে সৌদি আরব।
এছাড়া সম্প্রতি সৌদি আরবের এক যুবরাজের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে সাত নারী। অভিযোগকারী সাত নারীর বেশিরভাগই ফিলিপিন্সের। যারা ফ্রান্সে যুবরাজের কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। এদিকে অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে ফ্রান্সের আদালত। ফরাসি প্রসিকিউটরা বলছেন, বিষয়টি তারা গভীরভাবে তদন্ত করছেন