শিক্ষকের কাছেও নিরাপদ নই ছাত্রী!
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের শৈলকুপার ত্রিবেনী ইউনিয়নের বসন্তপুর (জয়ন্তীনগর) গ্রামে ৫ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে রাতের আধারে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রাইভেট শিক্ষক অনিক গাড়াগঞ্জ চন্ডিপুর গ্রামের কীটনাশক ব্যবসায়ী গোলাম সরোয়ারের ছেলে। অভিযুক্ত অনিক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
সে তার মামা বাড়ী বসন্তপুর (জয়ন্তীনগর) গ্রামে থাকে বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছে। জানা গেছে, লেখাপড়া করার সুবাদে বসন্তপুর (জয়ন্তীনগর) গ্রামে মামা সোহেল ও জুয়েলের বাড়ীতে দীর্ঘদিন যাবৎ থাকতো অনিক। সেখানে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতো অনিক। ধর্ষনের শিকার ৫ম শ্রেনীর ঐ ছাত্রীকেও সে প্রাইভেট পড়াতো। গত রবিবার সন্ধার পর ধর্ষিতার মা বাড়ীর বাইরে ফোনে কথা বলছিলো।
এসময় পেছন থেকে মেয়েটিকে জোর পূর্বক মুখ চেপে ধরে অনিক তার নিজের ঘরে নিয়ে যায়। এসময় মুখ ও হাত-পা বেধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তাকে ছেড়ে দিলে মেয়েটি কাদতে কাদতে তার মাকে সব খুলে বলে। ঘটনা জানাজালি হলে মুহুর্তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ছেলের মামারা ঘটনা ধামাচপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে মেয়ের পরিবারকে ম্যানেজ করতে এলাকায় গাম্য শালিসে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা দেয় ছেলের পরিবার। এরপর থেকে অভিযুক্ত অনিক গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা যায়।
ধর্ষনের শিকার মেয়ের মা জানায়, মোবাইলে নেটওয়ার্ক কম পাওয়াও তিনি বাড়ীর বাইরে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলো। এসময় তার মেয়েও পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলো। কখন যে অনিক তার মেয়েকে মুখ চেপে ধরে নিজ ঘরে নিয়ে হাত-পা বেধে ধর্ষণ করেছে তা তিনি টের পাননি। মেয়েকে না পেয়ে খুঁজাখুজির এক পর্যায়ে মেয়ে কাদতে কাদতে তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। এরপর থেকেই তার মেয়ে ভয়ে ও শারিরিক কষ্ট সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ধর্ষিতার মা শালিসে ৪০ হাজার টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি মেয়ের ধর্ষণের বিচার দাবী করেন। সেই সাথে তিনি আরো জানান, সামাজিক চাপে তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারছেনা। এদিকে ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত পলাতক অনিকের পিতা কীটনাশক ব্যবসায়ী গোলাম সরোয়ার জানান, ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। পরে লোকমুখে শুনেছেন। শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।