নিয়ম ভেঙে পণ্যবাহী ট্রাকে যাত্রী পারাপার
কঠোর লকডাউনে সড়কে জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স এবং পণ্যবাহী গাড়ী ব্যতীত কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে এই সুযোগে পণ্যবাহী ট্রাক চালকরা রাজধানী থেকে ট্রাকে মালামাল নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে যাত্রী আনা-নেওয়া করছেন। এতে করে ব্যহত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।
লকডাউনের তৃতীয় দিন শনিবার (৩ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন যায়গায় ব্যরিকেড বসানো হয়েছে। ব্যারিকেডের একপাশ দিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার আওতাধীন যানবাহন চলাচল করতে পারছে। প্রতিটি ব্যারিকেডে পুলিশি নজরদারি রয়েছে। মোটর সাইকেল এবং রিক্সায় যাতায়াতে কাউকে সন্দেহ মনে হলেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথেই প্রশাসনের নজরদারি নমনীয় হয়ে পড়ে। এতে করে ফিরতি পথে পণ্যবাহী ট্রাকের চালকেরা অতি মুনাফায় যাত্রী পারাপার করছে। যাত্রীরাও উপায় না পেয়ে চালকদের নির্ধারিত টাকাতেই গন্তব্যে যেতে রাজি হচ্ছে। রাস্তায় পুলিশ কিংবা প্রশাসনের উপস্থিতি জোরালো দেখলে পথিমধ্যেই নামিয়ে দেওয়া হবে এইসব শর্তমেনেই যাত্রীরা ঝুকি নিয়েই এগুচ্ছে।
রাজা মিয়া নামের আরেক যাত্রী বলেন, সব নিয়ম আমাগো গরিবগ মাইনষের লিগা। কামাই বন্ধ হয়েগেছে। পয় পুলাপান না খাইয়া আছে। কোন বাপ-মা কি পারে চোঁখের সামনে এমন অসহায়ত্ব সহ্য করতে। বাধ্য হইয়াই ঢাকা ছারছি। এখন গ্রামে যাইয়া দেখি বাড়ি বাড়ি কাম কইরা পয় পুলাপানের মুখে দুইডা ভাত দিতে পারি কিনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মানিরুজ্জামান বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাইন বাস্তবায়নে এমন অভিযোগ আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখব। আমাদের ম্যাজিষ্ট্রেটরা সড়কে সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এই অভিযোগের বিষয়ে সকলকে দ্রুত জানিয়ে দেওয়া হবে, এমনটা প্রমাণ পেলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম জানান, লকডাউন বাস্তবায়ন করতে জেলা পুলিশের চারশ সদস্য মাঠে কাজ করছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। আইন ভঙ্গকারীদের জন্য আমাদের সদস্যরা আইনের প্রয়োগ করছে।