চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কের আলমডাঙ্গায় থ্রী-হুইলার উল্টে চালক নিহত: আহত ৪
আলমডাঙ্গায় থ্রী-হুইলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে চালক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন থ্রী হুইলারে থাকা চার যাত্রী।
৩০ জুন বুধবার রাত ৮ টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কের জগন্নাথপুর-শ্রীরামপুর মাঠে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত থ্রী-হুইলার চালকের নাম সোনা মিয়া (৪৭)। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে।
আহতরা হলেন কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মুস্তাকিন আলী (২৪) ও দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে সেলিম রেজা (৩৫)। তিনি চুয়াডাঙ্গা ইউসিসি ব্যাংকের ক্যাশিয়ার। আহত মোস্তাকিন আলী ছাত্র।
বাকী দু’জনের নাম জানা যায়নি। তারা আলমডাঙ্গা শহরের লাল ব্রীজ এলাকা থেকে থ্রী-হুইলারে ওঠেন কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে আলমডাঙ্গা থেকে ৪ জন যাত্রী নিয়ে কুষ্টিয়া যাচ্ছিল থ্রী-হুইলারটি। এসময় জগন্নাথপুর-শ্রীরামপুর মাঠে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের আলো থ্রী-হুইলার চালকের চোখে লাগে। পরে ভেজা সড়কে চালক ব্রেক করলে থ্রী-হুইলারটি উল্টে যায়। এতে চালক সড়কের উপর ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন থ্রী-হুইলারে থাকা চার যাত্রী। নিহত ও আহত ২জনকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা শহরের ফাতেমা ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক চালক সোনা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুষ্টিয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। কোন অভিযোগ না থাকায় নিহতের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিন ভাইয়ের মধ্যে নিহত সোনা মিয়া সকলের বড়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামেরর গোরস্থানে লাশ দাফন করা হবে।
গতকাল রাতে নিহতের লাশ বাড়িতে পৌঁছলে মা-বাপ, ভাই, স্ত্রীসহ নিকট আত্মীয়দের বুক ফাটা আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠে।