১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ দুই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
জুন ২১, ২০২১
162
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

মেহেরপুর \ মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী অনুজ কুমার দে কে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের দুই সাবেক সভাপতি। সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে সড়ক বিভাগের উপ সহকারীর কক্ষে প্রবেশ করে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম আনন্দ মিলে অনুজ কুমার দে কে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) নজরুল ইসলাম ও উপ সহকারী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) আজিজ এর নামে নানা অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় ঠিকাদারা। আজিজ চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের ৬টি সেকশনের দায়িত্ব পালন করছেন। যেখানে এক একটি সেকশনের জন্য ১জন করে উপ সহকারী প্রকৌশলী থাকার কথা রয়েছে। এ ঘটনায় উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অনুজ কুমার দে বলেন, সংস্কার কাজের জন্য পাথর, প্রিগ্রাভেলস, বালি, জ্বালানী কাঠ, ইত্যাদি ক্রয়ের জন্য খুলনা বয়রার শহীদ এন্টাপ্রাইজ দরপত্র পায়। পরে সেই কাজ বারিকুল ইসলাম নেয়। ১৮ জুন মালামাল সরবরাহের শেষ তারিখ ছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২০-৩০ ভাগ মালামাল সরবরাহ করেছে যার মূল্য ১২-১৩ লাখ টাকা হতে পারে। কিন্তু শতভাগ মালামাল সরবারাহের কথা বলে ৩৯ লাখ টাকার বিল সাবমিট করে। আমি তাদের বলি, যততুটু মালামাল সরবরাহ করেছেন সেই পরিমান টাকা দিতে পারবো। কিন্তু লিজন ও আনন্দ পুরো টাকা দিতে হবে বলে আমার উপর চাপ প্রয়োগ করে। পরে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে লিজন আমাকে আমার কক্ষেই চড় থাপ্পড় দিয়ে মারধর শুরু করে। এসময় আমি চিৎকার করে রুমের বাহিরে চলে আসি। পরে আমার অফিসের অন্যরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে লিখিত ভাবে মেহেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

সদর থানার এস আই অর্জুন কুমার জানান, খবর পেয়ে আমরা সড়ক বিভাগে যাই। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাদের কাজের বিলের চেক দিতে অনুজ দে তালবাহানা করে আসছে দির্ঘদিন ধরে। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে, কিন্তু মারধরের ঘটনা মিথ্যা। মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) নজরুল ইসলাম জানান, মারধরের বিষয়ে শুনেছি। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram