আলমডাঙ্গায় কলেজ শিক্ষক বিয়ে করলেন ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীকে
আলমডাঙ্গার নওলামারী মাদ্রাসা শিক্ষকের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী কন্যাকে বিয়ে করলেন খাসকররা কলেজের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট রুহুল আমিন। এ বাল্যবিয়েকে ঘিরে এলাকায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার নওলামারী গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে রুহুল আমিন (২৫) করোনাকালীন ছুটির ভেতর খাসকররা কলেজে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে যোগ দিইয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিনগত রাতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেছেন নিজ গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক সোয়েব কবীর নান্নুর ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছোঁয়া খাতুনকে। সোয়েব কবীর নান্নু নিজ গ্রাম নওলামারী আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক। ছোঁয়া খাতুনও ওই মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।
এ বাল্যবিয়ে সম্পর্কে রুহুল আমিনের সাথে মোবাইলফোনে কথা বললে তিনি প্রথমে কথা বলতে সম্মত হননি। পরে কথা বললেও সংবাদ না প্রকাশ করতে বার বার অনুরোধ করেন। কলেজ শিক্ষক হয়ে কেন তিনি ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীকে বিয়ে করলেন এ প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি।
নওলামারী আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল লতিফ বলেন, করোনাকালীন দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে গোপনে অনেক ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। তবে একজন শিক্ষকের উচিত হয়নি তার ৯ম শ্রেণিতে পড়া মেয়ের বাল্যবিয়ে দেওয়া। তাছাড়া, কলেজ শিক্ষক ৯ম শ্রেণিতে পড়া কিশোরী বিয়ে করবে – এটাও নিন্দনীয় শুধু না, অপরাধও।
এদিকে, এ কলেজ শিক্ষকের এহেন বাল্যবিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শিক্ষার্থি ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা কলেজ শিক্ষক রুহুল আমিন ও কিশোরীকন্যার শিক্ষক পিতার বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি তুলেছেন।