হাসপাতালের কেবিনে হল নবদম্পত্তি বাসর
বাসরঘর নিয়ে পাত্রপাত্রিদের আবেগ ও স্বপ্ন চিরন্তন। বিশেষ করে মেয়েদের। আকৈশর তারা বাসরঘর নিয়ের নানা রঙিন স্বপ্ন লালন করে থাকে। আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি সে স্বপ্ন খুব গোপনে পুষে রাখে বুকের গভীরে।
আকৈশর চর্চিত এমন স্বপ্নঘেরা বাসরঘরের প্রত্যাশা পূরণ হলো না সুন্দর অষ্টাদশী তন্বী তাসফিয়ার। প্রেমিক ভাঙ্গা পা নিয়ে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকের কেবিনে শুয়ে। অসুস্থ্য প্রেমিককে দেখতে গিয়ে বিয়ে হাসপাতালের কেবিনেই বিয়ে এবং বিয়ের পর হাসপাতালের কেবিনেই হল তাসফিয়ার সাধের বাসর। গত বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাতে এ বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
জানা যায়, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আলমডাঙ্গা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের অনার্স পড়ুয়া ছেলে হুসাইন আহমেদের (২৩) ডান পা ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গা পা নিয়ে তিনি গত কয়েক দিন ধরে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকের ৪---নং কেবিনে। সঙ্গে রয়েছেন মা-বাবা ও বোন।
এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনার পর ভাঙ্গা পা নিয়ে প্রেমিক হুসাইন আহমেদ হাসপাতালে কষ্টে থাকার সংবাদ পেয়ে প্রেমিকা ঝিনাইদহ জেলার লেবুতলার তাসফিয়া সুলতানা মেঘা (১৯) গতকাল বৃহস্পতিবার ছুটে আসেন। সবকিছু জানার পর প্রেমিকের অভিভাবক প্রেমিকার বাবার সাথে মোবাইলফোনে এ ঘটনা জানালে তিনি মেয়েকে বাড়িতে তুলে নিতে আর রাজি হননি। বলেছেন – একবার যখন ঘর থেকে বের হয়ে গেছে ওই মেয়ে আর ঘরে তুলবেন না। সম্ভব হলে বিয়ে দিয়ে দেবার পরামর্শ দেন।
বাবার কথা শুনে ঝিনাইদহ কেসি কলেজ থেকে এ বছর ইন্টারমিডিয়েট পাশ করা তাসফিয়া সুলতানাও বিয়ের দাবিতে অনড় সিদ্ধান্তের কথা ব্যক্ত করেন। এক পর্যায়ে তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। গভীর রাতে হাসপাতালের কেবিনেই কাজী ডেকে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর ওই কেবিনই ছিল তাদের বাসরঘর।