অপহরণ করে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে ৪০ হাজার টাকায় ক্রয় করা হয় যুবকে!
জাহিদুর রহমান তারিক, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে খুলনার মোংলা থেকে অপহরণ হওয়া আরমান মোড়ল ( ১৭) নামে এক যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে অপহরণ চক্রের মূলহোতা মিঠু আহমেদ (৩১)কে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া আরমান মোড়ল তেরখাদার বিপ্র আজগরা গ্রামের আহম্মদ মন্ডলের ছেলে। সোমবার (১৪ই জুন) বিকালে কোটচাঁদপুর রেলওয়ে ষ্টেশনের প্লার্টফর্মের উপর থেকে আরমান মোড়লকে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায় গত ১১ ই জুন খুলনার মোংলা পাওয়ার প্লাট থেকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে জনৈক রাসেল নামে এক যুবকের সাথে গাড়িতে উঠার সাথে সাথেই তাকে অজ্ঞান করে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা এলাকায় ধৃত আসামি মিঠু আহমেদ এর কাছে ৪০.০০০/ হাজার টাকায় বিক্রি করে। আরমান মোড়ল এর কোন খোঁজখবর না পেয়ে তার পরিবার খুলনার তেরখাদা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে।
গত ১৪ তারিখে সকালে ভিকটিম আরমান মোড়লের পরিবারের কাছে অজ্ঞাত নামা মোবাইলের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করলে তার পরিবার তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ এর কাছে জানায়। অফিসার ইনচার্জ উক্ত নাম্বারের লোকেশন ট্র্যাকিং করে জানতে পারেন আসামি ও ভিকটিম ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। এরপর তেরখাদার অফিসার ইনচার্জ ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কোটচাঁদপুর সার্কেল মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মইন উদ্দিনকে অবহিত করলে ভিকটিম উদ্ধার ও অপহরণ কারীকে ধরতে এসআই তৌফিক আনাম কে নির্দেশ প্রদান করলে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কৌশলে সফল অভিযান চালিয়ে পৌর রেলওয়ে ষ্টেশনের প্লাটফর্মের উপর থেকে ভিকটিম আরমান মোড়লকে উদ্ধার করে এবং অপহরণ কারী মিঠু আহমেদ কে গ্রেফতার করে।
এসময় আসামি মিঠু আহমেদের কাছ থেকে নগদ ৩২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এবিষয়ে আসামি মিঠু আহমেদ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে ৪০ হাজার টাকায় ক্রয় করে বর্ডার এলাকায় নিয়ে গেলে স্থানীয় এলাকাবাসীর আনাগোনায় পুনরায় তাকে জীবননগর গ্রামে নিয়ে আসি।বিক্রি করতে না পারায় তার পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করি।
এবিষয়ে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিন জানান, ভিকটিম উদ্ধার পূর্বক তাকে আমরা থানা হেফাজতে রাখি এবং আসামি মিঠু আহমেদ কে থানা হাজতে আটক রেখে তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ কে অবহিত করলে তিনি উক্ত মামলার তদন্ত অফিসার কে আমার থানায় পাঠালে রিকুইজিশনের মাধ্যমে আসামি ও ভিকটিম আরমান মোড়ল কে তদন্ত অফিসার এর কাছে হস্তান্তর করি তিনি আরও বলেন, এরা হলো আন্তঃজেলার মানব পাচার চক্রের সদস্য। সারা দেশ জুড়ে এদের কর্মকান্ড চলমান,এজন্য সবাই কে সচেতন থাকার আহŸান জানাচ্ছি।