চুয়াডাঙ্গায় লকডাউনে সীমান্তবর্তী আরও ৯ গ্রাম

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর ও কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ৯টি গ্রামকে নতুন করে ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসক। এর আগে গত বুধবার নাটুদাহ ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭টি গ্রামে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন দেওয়া হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে নজীর হাওলাদার নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। গত শনিবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। ওই দিন সকালেই নিহতের বড় ভাই জমির হালদারও করোনার উপসর্গ নিয়ে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। একই দিনে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসী চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া শনিবার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন ও জাহাজপোতা গ্রামের নুরুল ইসলাম করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
আক্রান্ত ও মৃত্যু হার বেড়ে যাওয়ায় গত শনিবার দামুড়হুদার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহের সভাপতিত্বে টানা ৩ ঘণ্টা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলী আজগার টগর। সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন ৯টি গ্রামকে লকডাউনের আওতায় আনার পরামর্শ দেন।
নতুন করে লকডাউনের আওতায় দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ঝাঝাডাঙ্গা, নাস্তিপুর, কামারপাড়া, বাড়াদি, ছোট বলদিয়া, বড় বলদিয়া এবং কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি, চাকুলিয়া ও ঠাকুরপুরকে আনা হয়েছে।