ভুল চিকিৎসায় পা কেটে ফেলতে হয়েছে অভিযোগ তুলে ফাতেমা ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার কারণে রোগির পা কেটে ফেলতে হয়েছে অভিযোগ তুলে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিক মালিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আলমডাঙ্গার পোলতাডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে ভুক্তভোগি টিটোন হোসেন বাদি হয়ে গতকাল রবিবার এ অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রায় সোয়া দুই মাস পূর্বে সড়ক দুর্ঘটনায় টিটন হোসেনের (২৯) পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। তাকে দ্রæত উদ্ধার করে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সে সময় ক্লিনিক মালিক তার পায়ের পাতা থেকে সমস্ত পা ব্যান্ডেস করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ৩ দিন পর আসতে বলেন অপারেশন করতে। বাড়ি গিয়ে দুই দিনের মাথায় অসহ্য ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে তিনি ফাতেমা ক্লিনিকে ছুটে যান।
সে সময় ক্লিনিক মালিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু তাকে রাজশাহী গিয়ে বড় ডাক্তারের দিয়ে অপারেশন করাতে বলেন। তার পরামর্শ অনুযায়ি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসকরা ব্যান্ডেজ খুলে দেখেন যে, পায়ের মাংস পচে গেছে। তারা পা কেটে ফেলার বিকল্প চিকিৎসা না পেয়ে পা কেটে ফেলেন। প্রথমেই ভেঙ্গে যাওয়া পা ভালভাবে ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করলে এ সর্বনাশ হতো না বলে রাজশাহীর চিকিৎসকরা মন্তব্য করেন।
রাজশাহী থেকে বাড়ি ফিরে এ ঘটনা ক্লিনিক মালিককে জানালে তিনি ক্ষতিপূরণ হিসেবে আজীবন সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি তিনি রাখেন নি। বাধ্য হয়ে গত ১৭ এপ্রিল তার ক্লিনিকে উপস্থিত হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাড়িয়ে দেন।