মহেশপুরে প্রথম মিষ্টি জাতের আঙ্গুর চাষে সফলতা
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহে বানিজ্যিক ভাবে মিষ্টি জাতের আঙ্গুর চাষ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন মানুষ আঙ্গুর ক্ষেত দেখতে ভীড় করছেন ওই চাষির ক্ষেতে। জেলার সীমান্তবর্তি উপজেলা মহেশপুরের যোগীহুদা গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ বিদেশী জাতের আঙ্গুর চাষ করে সফল হয়েছেন। তার বাগানে উৎপাদিত আঙ্গুর ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত ১৫ দিনে তিনি প্রায় চার মন আঙ্গুর বিক্রি করেছেন।
তার ১০ কাঠা জমি থেকে আরো ১০ থেকে ১২ মন আঙ্গুর বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। এর আগে ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকায় আঙ্গুর চাষ হলেও তা স্-ুস্বদু ছিল না। তবে আব্দুর রশিদ এবারই প্রথম এ চাষে সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন। জমিতে গাছ রোপনের মাত্র সাত মাসে ফল আসতে শুরু করে। ৯ থেকে ১০ মাসের মাথায় আঙ্গুর পরিপক্ক হয়েছে। কৃষক আব্দুর রশিদের দাবি বাজারে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন জাতের বিদেশী আঙ্গুরের চেয়ে তার জমির পাকা আঙ্গুর অনেক ভালা।
১০ কাঠা জমিতে ছমছম ও সুপার সনিকা জাতের ৭৫ টি আঙ্গুর গাছ রোপন করেছেন তিনি। ভারত ও ইটালি থেকে এসব চারা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার দেখাদেখি এখন মহেশপুরের অনেকে আঙ্গুর চাষে আগ্রহী হচ্ছে। আব্দুর রশিদ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যুগিহুদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, গত সাত মাস আগে শখের বসে দশ কাঠা জমিতে ছমছম, সুপার সনিকা ও কালোসহ কয়েকটি জাতের ৭৫টি আঙ্গুর চারা রোপন করেন। তার দাবি বাংলাদেশের মাটিতে সুস্বাদু আঙ্গুর চাষে সফলতা তিনিই প্রথম।
মহেশপুর উপজেলা কৃষি স¤প্রসারন কর্মকর্তা অমিত বাগচী জানান, আমি নিজে আব্দুর রশিদের চাষ হওয়া আঙ্গুর খেয়ে দেখেছি, স্বাদ ভালো। কৃষি কর্মকর্তার ভাষ্যমতে মহেশপুর উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি বিভিন্ন ফল চাষের জন্য উপযোগী। এর আগে এই এলাকার কৃষকরা আম, পেয়ারা, বাউকুল, আপেলকুল, মাল্টা, কমলা লেবু ও তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। এখন আঙ্গুর চাষে প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাদ বাড়ানো যায় কিনা চেষ্টা করতে হবে। কৃষক আব্দুর রশিদকে সব সময়ই কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা করা হয় বলে যোগ করেন কৃষি কর্মকর্তা অমিত বাগচী ।