আলমডাঙ্গার দোয়ারপাড়ায় প্রতিপক্ষে বাড়িতে হামলার ঘটনায় আটক ২
আলমডাঙ্গার ফরিদপুরের দোয়ারপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে ফের বাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৪ মে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাব্বুল ও উজ্জ্বলকে গ্রেফতার করে আদারতে প্রেরন করেছে। ২৩ মে রাত সাড়ে দশ টার দিকে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুইটি বাড়িতে হামলা চালায়। এতে বাড়ি দুটিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এঘটনায় রমজান আলী বাদী হয়ে ৯ জন নামীয় এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের দোয়ারপাড়ায় আওয়ামীলীগের দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্ব›দ্ব চলে আসছে। বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু ও চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মাহামুদুল হাসান চঞ্চলের সমর্থকদের মধ্যে রেষারেষী চলছে।
এ অবস্থায় গত ২২ মে দুপুরে গ্রামের সাবেক স্বামী স¤্রাট তার পালিয়ে যাওয়ার স্ত্রী রতœাকে বর্তমান স্বামী সফিকুলের বাড়ি থেকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারই জের ধরে ২৩মে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাবেক স্বামী স¤্রাট ক্ষীপ্ত হয়ে তার সমর্থকদের নিয়ে স্ত্রীর দুলাভাই গ্রামের রমজান আলী ও হামিদুলের বাড়িতে হামলা চালায়। চেয়ারম্যান মন্টুর সমর্থক স¤্রাট চেয়ারম্যান সমর্থকদের ডেকে নিয়ে প্রতিপক্ষ মৃত আফছার আলীর ছেলে রমজান আলী ও বাহার আলীর ছেলে হামিদুল ইসলামের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় রমজান আলীর বসতবাড়ির টিনের প্রাচীর কুপিয়ে কেটে ফেলে। বসতঘরে হামলা চালিয়ে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে। একই সংগে পাশের হামিদুল ইসলামের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র তছনছ করে।
বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের ঘটনায় রমজান আলী বাদী হয়ে ৯জনের নাম উল্লেখ করে ও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে মন্টু চেয়ারম্যান সমর্থক ফরিদপুর দোয়ারপাড়া গ্রামের মুরাদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হাব্বুল(৪৫) ও একই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে উজ্জ্বকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। গতকালই তাদেরকে আদালতে প্রেরন করেছেন।