অগ্রিম যৌতুকের টাকা নিয়ে চাকরীতে যোগদানকারি সেনাসদস্য তৌফিক এলাহীর কান্ড
হবু শ্বশুরের নিকট থেকে অগ্রিম যৌতুকের টাকা নিয়ে চাকরীতে যোগদানকারি সেনাসদস্য তৌফিক এলাহীর কান্ড। নতুন করে যৌতুকের দাবি করে ঈদের দিন স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করেছেন। এ ঘটনায় নির্যাতিতা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার শুকচা গ্রামের ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে তৌফিক এলাহী সেনাসদস্য। প্রায় ৮ বছর আগে তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার কেশবপুর দাসপাড়ার লাল মোহাম্মদের মেয়ে সুলতানা খাতুনকে বিয়ে করেন। সেনাবাহিনীতে চাকরি হচ্ছে কিন্তু টাকা দরকার এমন দাবি করে বিয়ের পূর্বে শ্বশুরের নিকট থেকে তিনি ৪ লাখ টাকা অগ্রিম যৌতুক নেন বলে অভিযোগ রয়েছে ওই সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে। তাদের সংসারে তাদের ৪ বছরের ১ পুত্র সন্তান রয়েছে।
নতুন করে সেনাসদস্য তৌফিক এলাহী আবার যৌতুক দাবিতে স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করে। গত ঈদের দিন যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করেন। এ সংবাদ পেয়ে শ্বশুর মারাত্মক অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিছুটা সুস্থ হলে মেয়েকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পরদিন ১৬ মে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে তৌফিক এলাহী আবার স্ত্রীকে মারধর করেন।
ইতোপূর্বে প্রায় দুমাস আগে ছুটিতে বাড়ি আসেন তৌফিক এলাহী। ছুটি শেষে আর চাকরীতে যোগ না দিয়ে তৌফিক খুলনাতে পূর্ব পরিচিত এক মহিলাকে বিয়ে করে গোপনে সংসার শুরু করেন। তাদের সন্ধান না পেয়ে ১ম স্ত্রী থানায় অভিযোগ করেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তৌফিক এলাহীকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন গত ১৮ এপ্রিল। পরে ২য় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ১ম স্ত্রীর সাথে সংসার করবেন এমন লিখিত শর্ত মেনে স্ত্রীর সাথে আপোষ মীমাংসা করে বাড়ি ফেরেন। এ ঘটনার এক মাসও হয়নি। অথচ, এরই মাঝে স্ত্রীকে অমানুষিকভাবে নির্যাতন করেছে ওই সেনাসদস্য।