শৈলকুপায় রাস্তার বর্ধিত অংশে মাটি ভরাটে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রামবাসি থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ!
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের শৈলকুপার শেখপাড়া-লাঙ্গলবাধ সড়ক নির্মানে রাস্তার দু,পাশের বর্ধিত অংশে মাটি ভরাটে সড়কের পাশের শতশত গ্রামবাসির বোকা বানিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে এ নিয়ে কথা হলে তিনি জানান টাকা তিনি নেননি হয়তো মাটি ভরাটের দায়িত্বে থাকা তার সহযোগী ঠকাদার নিতে পারে।
ঘটনাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঝিনাইদহের শৈলকুপার শেখপাড়া থেকে লাঙ্গলবাধ পর্যন্ত ২৬ কিমি সড়ক নির্মানে। টেন্ডারে রাস্তার দু, পাশের মাটি ভরাটের জন্য আলাদা টাকা থাকলেও এলাকাবাসিদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা নেওয়ায় দু:খ প্রকাশ করেন সড়কের নির্মান তদারকির দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা। এ ছাড়া গ্রামবাসিরা অভিযোগ করেন তাদের ফসল নষ্ট করে জোর পূর্বক জমি থেকে মাটি কেটে নেয় প্রধান ঠিকাদারের নিয়োগকৃত মাখন নামের এক ব্যক্তি।মাখন এই মাটি ভরাট কাজের সাব-ঠিকাদার। আবার অন্যদিকে অবৈধভাবে কুমার নদীর মাটি কেটে রান্তার বর্ধিত অংশের মাটি ভরাটের কাজ চলছে।বাইরে থেকে মাটি এনে রাস্তার বর্ধিত অংশের কাজ করার কথা থাকলেও তার কোন নিয়ম মানা হচ্ছে না।
ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের শৈলকুপার শেখপাড়া থেকে লাঙ্গলবাধ পর্যন্ত ১৮ ফিট চওড়া ২৬কি.মি সড়ক নির্মানের কার্যাদেশ পান মাইনুদ্দিন বাশি লি: এ- মিজানুর রহমান জেভি। মাটি ভরাটসহ সড়কটির নির্মান ব্যায় ধরা হয় ৮২ কোটি টাকার বেশী। সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় সড়কের নির্ধারিত অংশ ছাড়া দু ধারে নেই কোন সরকারী সম্পত্তি। সড়কটির নির্মান কাজ শুরু হয় চলতি বছরের মার্চ থেকে। কুশবাড়িয়া গ্রাামের হত দরিদ্র মিন্টু শেখ অভিযোগ করেন তাদের বাড়ির পাশের সড়কের নির্মান কাজ শুরু হলে ঠিকাদারের লোকজন এসে বলল যদি মাটি না দেও তাহলে তোমার ঘরের মধ্যে থেকে মাটি কেটে নেওয়া হবে। সরকারীকাজ, এ ভয়ে তিনি মাখন নামের এক ব্যক্তিকে ৩ গাড়ি মাটি কিনতে ৩ হাজার টাকা দেন। একই গ্রামের ফারুক জানান তিনি বাড়ির মাটি কেটে নেওয়ার ভয়ে ঠিকাদারের লোকজনকে দিয়েছেন ৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া ফারুক জানান তাকে সরকারী কাজের ভয় দেখিয়ে মাটিক্রয়ের জন্য তার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৬ হাজারটাকা।
হাজরামিনা গ্রামের সাইফুল শেখ জানান সড়কের পাশে তাদের নিজ নামে রেকর্ডিয় জমি থেকে সড়কের মাটির সাব-ঠিকাদার মাখন নামের এক ব্যক্তি জোরপূর্বক ধানসহ মাটি কেটে নেয়। সড়ক নির্মানেরাস্কার দু,পাশের বর্ধিত অংশে মাটি ভরাটের টাকা বরাদ্দের পরও গ্রামবাসির কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে মাটি ভরাটের সাব-ঠিকাদার মাখন জানান, তিনি মাটি বাবদ কোথাও থেকে কোন টাকা নেননি বলে অভিযোগ অস্বীকার করেন।ঘটনা সত্যি হলেও লিখে তাকে কিছু করা যাবে না বলে দাম্ভিকতা প্রকাশ করেন তিনি।
শৈলকুপায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২৬ কি.মি সড়ক নির্মানে গ্রামবাসিদের কাছ থেকে মাটি ভরাটের টাকা নেওয়ার অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাইনুদ্দিন বাশি লি: এ- মিজানুর রহমান জে ভি’র মিজানুর রহমান মাসুম বলেন তিনি কোন টাকা নেননি তবে মাটির কাজের সাব-ঠিকাদার টাকা নিতে পারে বলে স্বীকার করেন। সড়ক নির্মানে গ্রামবাসির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ঘটনায় নির্মানকাজ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্য সহকারী মতিয়ার রহমান বলেন এ ঘটনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ কখনো সমর্থন করে না। টেন্ডারে মাটির কাজের আলাদা টাকা ধরা হয়েছে। এছাড়াসড়কের উভয় প্রান্তে এখন পর্যন্ত কোনসাইন বোর্ড দেওয়া হয়নি বলে স্বীকার করেন।