আলমডাঙ্গায় ১৫০ জন কৃষক পেলেন কন্দাল ফসল আবাদ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

-চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ১৫০ জন কৃষক পেলেন কন্দাল ফসল আবাদ বিষয়ক প্রশিক্ষণ।কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গত ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ৬ মে বৃহস্পতিবার এ প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আলমডাঙ্গা। আলমডাঙ্গা উপজেলাসহ দেশের ১৫০টি উপজেলায় এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।এ প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যে সম্পর্কে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বলেন, "এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে কন্দাল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের বর্ধিত জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পুষ্টিমান উন্নয়ন করা। তাছাড়া, পরিবর্তিত জলবায়ুর উপযোগী নতুন ফসল চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তোলা এ প্রকল্পের আরেকটি উদ্দেশ্য।"
জানা গেছে, কন্দালের উন্নয়নে খরচ হচ্ছে দেড়শ কোটি টাকা। ধান ও গমের পরেই দেশের কৃষিতে কন্দাল জাতীয় ফসলের অবস্থান। আলু, মিষ্টি আলু, ওলকচু, মুখীকচু, পানিকচু, লতিকচু, কাসাভা, গাছ আলুসহ অন্যান্য কন্দাল জাতীয় ফসলের উন্নয়নে ১৫৬ কোটি ৩১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা খরচ করবে সরকার। ‘কন্দাল ফসল উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ খরচ করা হবে। ৫ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদনও দেয়া হয়েছে। এর আওতায় ২৮ হাজার ৪৪০টি আলু ও কচু উৎপাদন প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে।
কন্দাল ফসল চাষের উপযোগী মাটি, জলবায়ু ও চাষের চাহিদার ভিত্তিতে দেশের আট বিভাগের ৬০ জেলার ১৫০টি উপজেলাকে এই প্রকল্পের এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণ নিতে আসা কৃষক আজিবর রহমান জানান, "প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা কন্দাল ফসল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। ফলে আগের চেয়ে বেশি কন্দাল ফসল উৎপাদন করতে পারবো। তিনি আরও বলেন, কন্দল ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে সহজেই স্বাবলম্বি হওয়া যাবে। এটা বেশ লাভজনক ফসল।"