ঝিনাইদহে পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে গ্যাঁড়াকলে গ্যারেজ ব্যবসায়ী!
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের সদর উপজেলার গান্নায় পাওনা টাকা আদায় করতে এসে গ্যাঁড়াকলে পড়েন এক গ্যারেজ ব্যবসায়ী। পাওনা টাকা আদায় করতে এসে উলটো তার কাছে থাকা টাকা কেড়ে নিয়ে নারী কেলেংকারীতে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে গান্না গ্রামের একদল ছিনতাইকারী ও বখাটে যুবক। পরে পুলিশ এসে টাকা ও ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে। সন্টু নামের ঐ গ্যারাজ ব্যবসায়ী চুয়াডাঙ্গা সদরের দশমাইল বাজারে আলমসাধু গাড়ি তৈরি করেন। জানাগেছে, গান্না গ্রামের আজগারের ছেলে উজির আলী সন্টুর দশ মাইল বাজারের গ্যারাজ থেকে একটি আলমসাধু কিনে নিয়ে আসেন বাকী টাকায়।
মাসে মাসে টাকা পরিশোধ করে আসছিল উজির। এখনো ৩ হাজার টাকা বাকি রয়েছে যা আদায় করতে আসেন গ্যারাজ মালিক সন্টু। প্রত্যক্ষদর্শী গান্না পূর্ব পাড়ার বাসিন্দারা জানান, সোমবার বিকালে গান্না পূর্বপাড়ায় উজিরের বাড়িতে যেয়ে সন্টু দেখতে পায় উজির বাড়িতে নেই। সে টাকার চাপ দিলে উজিরের স্ত্রী কৌশল করে তার সাথে অবৈধ সম্পর্কের নাম করে গ্রামের বখাটে সাগর, জনি, ফারুক, মামুন, আমিন ও রেজাউলকে ডেকে এনে সন্টুকে আটকে ফেলে। এসময় সন্টুর কাছে থাকা নগদ ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা কেড়ে নেয় সাগরসহ এই বখাটেরা। ব্যবসায়ী সন্টুকে মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ব্যপক মারধর করে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসী। টাকা কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দিলে সে মাঠের মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে গান্না বাজার ফুলমার্কেটের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের কাছে আশ্রয় নেয়।
খবর পেয়ে বেতাই-চন্ডিপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সিরাজুল আলম রাতে গিয়ে ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে এসআই সিরাজুল আলম জানান, গতকাল রাতে আমি খবর পেলাম সন্টু নামের এক ব্যবসায়ী গান্না গ্রামের উজিরের বাড়িতে পাওনা টাকা আদায় করতে আসে। গান্না গ্রামের কিছু বখাটে উলটো তার কাছে থাকা নগদ ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা কেড়ে নিয়েছে। খবর পেয়ে আমি গান্না বাজারের ফুলব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম ও আলতাফ হোসেনকে সাথে নিয়ে গিয়ে টাকা উদ্ধার করে তার হাতে টাকা বুঝিয়ে দিই। এই ঘটনায় কোন মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন এসআই সিরাজুল আলম।