লকডাউনের প্রথম দিনেই আলমডাঙ্গায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ : ব্যবসায়ী ও প্রশাসন মুখোমুখি
লকডাউনের প্রথম দিনেই আলমডাঙ্গায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও প্রশাসন মুখোমুখি অবস্থান নেয়। ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দৃড় অবস্থান গ্রহণ করে। পরে প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদেরকে বুঝিয়ে শান্ত করেন।
৫ এপ্রিল লকডাউনের প্রথম দিন বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গার গার্মেন্টস্পট্টির বৃহত্তর গার্মেন্টস ও কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীরা লকডাউনের বিরুদ্ধে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা লাকডাউন উপেক্ষা করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ুন কবীর ও থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সে সময় উত্তেজিত ব্যবসায়ীরা লকডাউন না মানার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবস্থান শান্ত করার চেষ্টা করেন।
বৃহত্তর কাপড়পট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী গোলাম রহমান সিঞ্জুল প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, রমজানের বেশ পূর্বেই ঈদের বেচাবিক্রির জন্য তারা কাপড় ও পোষাক সংগ্রহ করে থাকেন। এ বছরও বেশ আগেভাগেই লাখ লাখ টাকার মাল সংগ্রহ করেছেন। এখন লকডাউন দেওয়া হলে সেগুলি বিক্রি করবেন কবে। কারণ সিটকাপড় ও শাড়ি এখনই বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। আগে ভাগে ক্রেতারা কেনেন তৈরির ঝামেলা আছে বলেই। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খুলে রাখার দাবি করেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা নানা শ্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলতে থাকেন – যদি হাজার হাজার শ্রমিক নিয়ে শিল্প কারখানা চলতে অসুবিধা না থাকে, তাহলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে রাখতে পারবেন না কেন?
এ সময় আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল ব্যবসায়ীদের দাবির কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, লকডাউনের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত অপেক্ষা করার কোন সুযোগ নেই।
এ সময় আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীরও সকল ব্যবসায়ীকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মহাবিপদের বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে লকডাউনের সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে নিতে অনুরোধ করেন। শেষে ব্যবসায়ীরা শান্ত হন।