আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের তৎপরতায় চোরাই গরু ফেরত পেলেন ফরিদপুর গ্রামের জানবার আলী
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের তৎপরতায় চোরাই গরু ফিরে পেয়ে হাসি ফুটলো ফরিদপুর গ্রামের অসহায় জানবার আলীর। ১৮ মার্চ গভীর রাতে সুযোগ সন্ধানী চোর চক্র বাছুরসহ গাভী গরুটি চুরি করে নিয়ে যায়। পরে ১৯ মার্চ রাতে আসাননগর গ্রাম থেকে বাছুরসহ গাভী গরুটি উদ্ধার করে।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী গ্রামের কারিগর পাড়ার মৃত আজীম উদ্দিনের ছেলে অসহায় মুরগী ব্যবসায়ী জানবার আলী দীর্ঘদিন ধরে একটি বকনা বাছুর গরু পালন করে বড় করেছে। কয়েকদিন আগে গরুটির একটি বাচ্চা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ গভীর রাতে সুযোগ সন্ধানী চোর চক্র বাছুরসহ গাভী গরুটি চুরি করে নিয়ে যায়। সকালে আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযাগ করেন জানবার আলী। অভিযোগ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের তৎপরতায় বাছুরসহ গাভীটি উদ্ধার করেছে। ১৯ মার্চ রাতে পাইকপাড়া ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই গিয়াস উদ্দিন ও আলমডাঙ্গা থানার এএসাই্ খালেদ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিদাসপুর আসাননগর গ্রামে অভিযান চালান। অভিযানকালে আসাননগর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বাঁশবাগানের নিকট পৌছালে পুলিশের উপস্থিত টেরপেয়ে বাছুরসহ গরুটি ফেলে রেখে চোরচক্র পালিয়ে যায়।
বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের বিশাল একটি গরু চোর চক্রের সিন্ডিকেট রয়েছে। আলমডাঙ্গা সহ আশপাশ এলাকায় চুরি হওয়া গরু ওই গ্রামে পাওয়া যায়। বেশ কিছুদিন আগে ঝিনাইদহ কালিগঞ্জ থেকে চুরি হওয়া গরু ট্রাকসহ আসাননগর থেকে আটক করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। কয়েকদিন আগে মাজু থেকে চুরি হওয়া গরু ওই গ্রাম থেকেই উদ্ধার করে পুলিশ।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর বলেন, ফরিদপুর থেকে চুরি হওয়া বাছুরসহ গাভীটি কালিদাসপুর আসাননগর থেকে উদ্ধার করে মালিকের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন চোরে নাম পাওয়া গিয়েছে তাদেরকে আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।