ঝিনাইদহে ভালোবাসার ফাঁদ পেতে উন্নয়নকর্মীর ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহে ভালোবাসার ফাঁদ পেতে ৩ বছর ঘুরে এক নারী উন্নয়ন কর্মীকে বিয়ে করে তার কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বুরহান উদ্দিন নামে এক প্রতারক ব্যবসায়ী। অসহায় ওই নারী স্বামীর অধিকার পেতে শ্বশুরবাড়ীতে গেলে তাকে মারধর ও নির্যাতন করা হচ্ছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ প্রেমের ফাঁদে ফেলে উন্নয়ন কর্মী সদর উপজেলার নাথকুন্ডু গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের মেয়ে নাজনীন সুলতানাকে বিয়ে করেন একই উপজেলার কালীচরণপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে বুরহান উদ্দিন। বিয়ের পর কিছুদিন তাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। শহরের হামদহ ঘোষপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। নানা ভাবে নাজনীনকে ভুলিয়ে তার কাছে থাকা প্রায় ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় বুরহান।
স্ত্রী নাজনীনের টাকা নিয়ে শহরের মুন্সী মার্কেটে এআর বস্ত্র বিতান নামের একটি দোকানও চালাচ্ছে বুরহান। টাকা নেওয়ার পর আরও টাকা দাবী করে বুরহান। টাকা দিতে না পারলে নাজনীনকে নানা ভাবে নির্যাতন শুরু করে। ভাড়া বাসায় একা রেখে প্রথম স্ত্রীর কাছে থাকতে শুরু করে বুরহান। নাজনীনের ভাই আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমার বোনের কাছ থেকে সকল টাকা নেওয়ার পর বুরহান প্রতারনা শুরু করে। টাকা ফেরত চাইলে নানা ভাবে বোনকে নির্যাতন করে।
সংসার খরচ দেওয়া তো দুরের কথা সপ্তাহেও একদিন বোনের খোঁজ খবর নেয় না। গত ১৭ মার্চ রাতে আমার বোন স্বামীর অধিকার চাইতে শ্বশুড়বাড়ী গেলে বুরহান, বোনের শ্বাশুড়ী আনোয়ারাসহ পরিবারের লোকজন তাকে বেধড়ক মারধর করে। এতে সে অচেতন হয়ে পড়ে। রাত ৩ টার দিকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। নির্যাতিতা নাজনীন বলেন, আমি স্ত্রীর অধিকার চাইলে সে আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার হুমকি দেয়। আর আমাকে মারধর করে।
আমি টাকা ফেরৎ চাই না, স্ত্রীর মর্যাদা চাই। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার এস আই রফিক বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ভোটার আইডি কার্ডের গ্যাড়াকলে পড়ে দিকবিদিক হারিয়ে পথে পথে ঘুরছেন সালেহা বেগম। এমতবস্থায় তিনি কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টিসহ আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।