মেহেরপুর প্রতিনিধি ॥ মেহেরপুর শহরের গরুর হাটে পারভেজ নামে এক যুবক সৎ পিতা সার্থক আলীকে বড় দা দিয়ে মারতে গিয়ে নিজেই গণধোলাই হলো জনগণের হাতে। শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পারভেজ শহরের শিশু বাগান পাড়ার খোকন আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পারভেজ একটি বড় দা নিয়ে তার সৎ পিতা সার্থক আলীকে পিছন থেকে কোপ মারার উদ্দেশ্যে মারতে গেলে সার্থক চিৎকার করে। তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে পারভেজকে গণধোলাই দেয়। পারভেজ কে গণধোলাই শেষ করে পুলিশ কে খবর দিলে তারা পারভেজ কে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
সৎ পিতা সার্থক আলী জানান, গত ১০ বছর আগে পারভেজের মায়ের সাথে আমি বিবাহ করি। গত কয়েক বছর ধরে সে আমাকে বিভিন্ন ভাবে মারার হুমকি দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে আমি মেহেরপুর সদর থানায় একটি জিডি করে রাখি । পরবর্তীতে আজ শনিবার দুপুরে সে আমাকে বড় ছুরি দা দিয়ে মারতে আসে। তিনি আরো জানান, পারভেজ আমার বাড়িতে প্রায় ৫-৬ বছর ধরে আছে। আমি তাকে কোন ধরনের বকাবকি করি না। যেটুকু বকাবকি করে সেটা হচ্ছে ওর মা। পারভেজ দীর্ঘদিন ধরে মাদক আসক্ত। বাড়িতে আসলে ওর মায়ের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে এবং ওর মাকে মারধর করে। আমি বাধা দিলে আমাকেও মারতে যায়। কয়েক সপ্তাহ আগে তার মায়ের কানের চুরি করে মাদক সেবন করেছে। পারভেজ কোন রাগে আমাকে মারতে আসে সেটা আমি জানি না কিন্তু আমি কোন সময় তার সাথে খারাপ আচরণ করি না। সে উল্টা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে এরকম হুমকি দিয়ে আসে।
এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খাঁন জানান, ঘটনাটি শোনার পর পরে আমি পুলিশ ফোর্স পাঠায়। পুলিশ সদস্যরা যেয়ে পারভেজকে উদ্ধার করে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। অভিযোগ আসলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিব।