মিশুক মনির -তারেক মাসুদের ঘাতক বাসের ধাক্কায় এবার আলমডাঙ্গায় ৫জন আহত। আলমডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা সড়কে পৌর সীমানা পিলারের নিকট দ্রুতগামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের ধাক্কায় আলমসাধুতে থাকা ৫ যাত্রী মারাত্মক আহত। ২০১১ সালে ১৩ আগস্ট একই সময় ঢাকা আরিচা সড়কে মিশুক মনির ও তারেক মাসুদসহ মাইক্রোবাসে থাকা ৫জন চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের ধাক্কায় মৃত্যু বরণ করে।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর স্ত্রী ঠেকারী খাতুন, মেয়ে খাদিজা খাতুন ও রেহেনা খাতুন, ছেলে হাসিবুল ইসলামের মেয়ে তাসফিয়া ও মেয়ে খাদিজা খাতুনের ছেলে আরাফাতসহ বেশ কয়েকজন রোয়াকুলি গ্রামে বিয়ে খেতে আসে। বিয়ের দাওয়াত খেয়ে সন্ধ্যায় আলমসাধু যোগে বাড়ি ফেরার পথে আলমডাঙ্গা পৌর সীমানা পিলারের নিকট পৌছালে পিছন থেকে দ্রুত গতিতে আসা চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সে(ঢাকা মেট্টো-ব- ১৪-৪২৮৮)“র ধাক্কায় আলমসাধু উল্টে যায়। এসময় আলমসাধুতে থাকা ঠেকারী খাতুন, মেয়ে খাদিজা খাতুন, রেহেনা খাতুন ও নাতনী তাসফিয়া ও নাতী ছেলে আরাফাত আহত হয়। মারাত্ম আহত ঠেকারী খাতুন ও তাসফিয়াকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকি’সার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে চলে গেছে।
এবিষয়ে রোয়াকুলি গ্রামের মিলাদ জানায়, আমার মেয়ের বিয়ে খেতে আমার শ^শুর বাড়ি থেকে আমার আত্মীয় স্বজন আসছিল। তারা সন্ধ্যায় আলমসাধু যোগে বাড়ি ফেরার পথে পৌরসভার সীমানা পিলারের নিটক পৌছালে পিছন থেকে চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স ধাক্কা দেয়। ডিলাক্সের ধাক্কায় আলমসাধু উল্টে গিয়ে যাত্রীরা মারাত্মক আহক হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য- ২০১৭ সালে ৫ মার্চ সকাল ৭ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা সড়কের বন্ডবিলের হক ফিলিং স্টেশনের নিকটবর্তিস্থানে একই চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের ধাক্কায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। একই বছর ২২ নভেম্বরও চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহণের চাপায় আরেক পাখিভ্যানচালকের করুণ মৃত্যুর ঘটে।
উল্লেখ্য,২০১১ সালের ১৩ আগস্ট সকালে ‘কাগজের ফুল’ নামে একটি সিনেমার শ্যুটিং স্পট দেখে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রাম থেকে ঢাকা ফিরছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ, তার স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ ৯ জনের একটি দল। পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক এলাকায় তাদের বহন করা মাইক্রোবাসটি পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সংর্ঘষ হয়। এসময় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। মাইক্রোবাসের ভেতরে থাকা তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর, প্রোডাকশন সহকারী ওয়াসিম,জামাল এবং মাইক্রোবাস চালক মুস্তাফিজুর রহমানসহ পাঁচ জন নিহত হন। দুর্ঘটনায় আহত হন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিল্পী ঢালী আল মামুন ও তার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম জলি।