আলমডাঙ্গায় বিট পুলিশিং সমাবেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম
আলমডাঙ্গায় সস্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদক নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন প্রতিরোধে লক্ষ্যে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। “ পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৪ ফেব্রæয়ারী বুধবার আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৩ নং বিট পুলিশ কার্যালয় বন্ডবিল স্কুল মাঠে এ বিট পুলিশিং সভার আয়োজন করে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম।
এ সময় তিনি বলেন, দেশে উন্নয়নের এমন বিস্ময়কর গতি অব্যাহত রাখতে টেকসই আইনশৃঙ্খলার কোন বিকল্প নেই। তার জন্য প্রয়োজন আইনশৃঙ্খলা কার্যক্রমের সাথে জনগনের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা। পুলিশপকে জনমুখী ও জনবান্ধব করতে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা হচ্ছে। এ সব কার্যক্রম পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থার সঙ্কট কাটিয়ে পুলিশ-জনতা সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পুলিশি সেবা জনগণের দ্বোর গোড়ায় পোঁছে দিতে, পুলিশের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও গণমুখী করার প্রত্যয়ে বিট পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রফিকুল ইসলামের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, দূরবর্তী এলাকার মানুষ খুব প্রয়োজন না হলে থানায় তেমন একটা আসেন না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যত্যয় না ঘটলে পুলিশও সেসকল এলাকায় খুব বেশি যাওয়ার সুযোগ পায় না। সে কারণে পুলিশের সাথে জনগণের অনাকাঙ্খিত দূরত্ব সৃষ্টি হয়। যা থেকে তৈরি হয় অবিশ্বাস ও ভুল বোঝাবুঝি। অন্যদিকে, পুলিশের অনিয়মিত উপস্থিতির সুযোগে অপরাধি ও গ্রাম্য টাউটদের দৌরাত্ব বৃদ্ধি পায়। এ অবস্থায় বিট পুলিশিং সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে এসব সমস্যা মোকাবেলা করা সহজ হবে।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন, আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন দেবব্রত রায়, তরুন ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক জাহাঙ্গীর আলম টিংকু মোল্লা, নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সাইফুল মুন্সি, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মোল্লা, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা আকবর হোসেন, পিন্টুল মোল্লা, বিট অফিসার এস আই সিদ্ধার্থ মন্ডল।
সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু বলেন, বিট পুলিশিং কার্যক্রম ভালভাবে বাস্তবায়িত হলে পুলিশের সাথে জনগণের সম্পর্ক নিবিড় হবে। এতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি উপকৃত হবে। এতে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। প্রশাসনে গতিশীলতা বাড়বে।