শীতের সকালে উষ্ণতার উপহার: ডাউকি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় মানবতার চাদর উপহার

আলমডাঙ্গার শীতার্ত সকালে যখন কুয়াশা নেমে আসে শিশুদের গায়ে, তখন একদল মানুষের ভালোবাসা হয়ে উঠল তাদের উষ্ণ আশ্রয়। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আলমডাঙ্গার ডাউকি মাদ্রাসাতুস সালাম ও এতিমখানার শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি ছিল সাদামাটা, কিন্তু অনুভূতিতে ছিল গভীর। মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুর রশিদের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই মানবিক আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোঃ হায়দার আলী। শিশুদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়ার মুহূর্তে সেখানে তৈরি হয় নীরব আবেগের দৃশ্য—যেখানে কথা কম, অনুভব বেশি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শেখ নূর মুহাম্মদ টিপু, মোঃ সাইদুল ইসলাম বুড্ডু। এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য জাহিদ হাসান শুভ, ডা. সানোয়ার হোসেন, মুন্সি হাফিজুর রহমান, মোঃ মুকুল মুন্সি, মোঃ আব্দুস সামাদ, ঠান্ডু মিয়া ও এম এ কাশেমসহ আরও অনেকে এ উদ্যোগে অংশ নেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এ অঞ্চলের কো-অর্ডিনেটর এবং ডাউকি মাদ্রাসাতুস সালাম ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুন্সি মোঃ আবু হাসান বলেন, “এই শিশুরাই আমাদের আগামী। তাদের মুখের হাসিই আমাদের সব পরিশ্রমের সার্থকতা।”
এই আয়োজন যেন মনে করিয়ে দেয়—মানবতা এখনো বেঁচে আছে। শীতের কঠিন দিনে একটি গরম কাপড় যেমন শরীরকে উষ্ণ করে, তেমনি এমন উদ্যোগ সমাজকে উষ্ণ করে ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধে।
প্রসঙ্গত, ডাউকি মাদ্রাসাতুস সালাম ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এ অঞ্চলের কো-অর্ডিনেটর মুন্সি মোঃ আবু হাসান পেশায় একজন প্রকৌশলী। কিন্তু তাঁর পরিচয় শুধু পেশায় সীমাবদ্ধ নয়—মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাঁর আসল পরিচয়। ব্যস্ত কর্মজীবনের মাঝেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে নীরবে সমাজকল্যাণমূলক কাজে যুক্ত রয়েছেন। অসহায় শিশুদের শিক্ষা, শীতার্ত মানুষের উষ্ণতা আর মানবিক দায়বদ্ধতা—এই সবকিছুই তাঁর জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আলোচনার আড়ালে থেকেও তিনি আলো জ্বালান মানুষের জীবনে।











