হাঁরিয়ে যাওয়া এক শিশু ও এক বয়োবৃদ্ধকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ
বাড়ি থেকে হাঁরিয়ে যাওয়া এক শিশু ও এক বয়োবৃদ্ধকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। ১৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে শিশু রহমতুল্লাহকে তার পিতার কাছে ও রাতে বৃদ্ধ শফি উদ্দিনকে তার ভাইরা ভায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে ওই শিশু রহমতুল্লাহ ও বয়োবৃদ্ধ শফি উদ্দিনকে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার পাবই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র রহমতুল্লাহ (১২) কয়েকদিন আগে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসে। ঢাকা থেকে সে উদ্যেশ্যবিহীন ট্রেনে চড়ে বসে। ১৪ সেপ্টেম্বর সে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে এসে নামে।
এলোমেলো ঘোরাফেরা করায় যাত্রীদের কেউ একজন থানা পুলিশকে জানালে রহমতুল্লাহকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তার পরিবারের সাথে যোগযোগ করলে রহমতুল্লাহর পিতা আব্দুল মান্নান ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আলমডাঙ্গায় পৌছান। সকালে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে তার পিতার কাছে তুলে দেওয়া হয়।
অপরদিকে, ঝিনাইদহের কোর্টচাঁদপুরের স্টেশনপাড়ার মৃত নেকবার আলীর ছেলে বয়োবৃদ্ধ শকিরদ্দিন (৭০) ১০ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে উদ্যেশ্যবিহীন ঘুরতে ঘুরতে আলমডাঙ্গায় চলে আসেন। আলমডাঙ্গার পুরাতন বাজারে মর্ডান কম্পিটার সেন্টারের সামনে ঘোরাঘুরি করার সময় স্থানীয়দের নজরে পড়েন তিনি।
১৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয়রা বৃদ্ধের ছবি উঠিয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নিকট পাঠায়। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে আলমডাঙ্গা অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে বয়োবৃদ্ধ শফি উদ্দিনকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেন। সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ বৃদ্ধের সন্তানদের সাথে যোগযোগ করে থানায় আসতে বলে। রাতে বয়োবৃদ্ধ শফি উদ্দিনের ভাইরা ভাই থানায় এলে তাকে তার কাছে হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত তহিনুজ্জামান, পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন শেখ মাহবুবুর রহমান, এসআই সনজিত কুমার, এসআই খজরুল আলম, এসআই শরিয়তুল্লাহ, এসআই আমিনুর রহমান, এসআই আলমগীর, এসআই সুফল কুমার, প্রমুখ।