২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুন্ডুর হোসেন আলী কামিল মাদ্রাসায় দুই পদে নিয়োগ নিয়ে তোলপাড়!

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
আগস্ট ২৯, ২০২১
29
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের হোসেন আলী কামিল মাদ্রাসায় দুই পদে নিয়োগ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে বিদ্ধ হচ্ছে নিয়োগ কমিটি। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহ আলীয়া মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মাদ্রাসার সভাপতি রাসেল আহম্মেদ অভিযোগের বিষয়ে জানান, নিয়োগ সচ্ছ ও বৈধ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। এ কারণে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ২৬ আগস্ট দুপুরে পিয়ন দিয়ে পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাঠায় মাদ্রাসা সুপার। প্রবেশপত্রে উল্লেখ রয়েছে শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের আলিয়া মাদ্রাসায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে ৮ জন আবেদন করলেও পরীক্ষা দিতে আসে ২ পদে ৬ জন।

শুক্রবার বিকাল ৫ টা ১০ মিনিটের দিকে দুইজন শিক্ষকের দায়িত্বে আলিয়া মাদ্রাসার ২য় তালার একটি কক্ষে পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ৪ পরীক্ষার্থী দেখাদেখি করে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে এসে পরীক্ষার্থী মাহফুজ আনোয়ারের সাথে কথা হলো। তিনি পরিচয় করিয়ে দিলেন রাজু আহমেদ নামের আরেক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে। রাজু আহমেদ খুলনার বিএল কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র। মাহফুজ আনোয়ারের প্রক্সি দিতে হয়তো তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, ১১ লাখ টাকায় কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব রক্ষক পদে সেলিম নামের একজনকে ঠিক করা রয়েছে।

তাই পরীক্ষা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। অফিস সহকারী পদে মিলন নামের একজনকে নিয়োগ দিতে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সভাপতি ম্যানেজ হয়েছেন এমন কথা এলাকায় শোনা যাচ্ছে। এই পদে পরীক্ষা দেয় সুরুজ ও তরিকুল নামে আরও দুইজন। কিন্তু নিয়োগ পাচ্ছেন মিলন। মিলনের নামে হরিণাকুন্ডু সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কয়েকটি মামলা রয়েছে। ঢাকা থেকে আগত মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উপ পরিচালক আফাজ উদ্দিন পরীক্ষার খাতা দেখতে দেখতে সাংবাদিকদের জানান তাৎক্ষনিক ভাবে প্রশ্ন তৈরী করে পরীক্ষা গ্রহন করা হয়েছে। কোন অনিয়ম নেই। তবে মাদ্রাসা কমিটির কোন লেনদেনের বিষয়টি আমি বলতে পারবো না।

মাদ্রাসার সভাপতি রাসেল আহমেদ জানান, আওয়ামীলীগের উচ্চ পর্যায়ের এক নেতার পিএস মাদ্রাসার সভাপতি হতে চেয়েছিলেন। তিনি হতে না পেরে নিয়োগ নিয়ে এসব মিথ্য কথা প্রচার চালাচ্ছে। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন বলেন, নিয়োগ নিয়ে কোন বানিজ্য করা হয়নি। একটি মহল নিয়োগ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মনে করি।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram