স্বতন্ত্র প্রার্থী সবেদ আলীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের ঘটনায় বিক্ষোভ
আলমডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে দুই মেয়র প্রার্থীর অফিস ভাংচুরের ঘটনায় মোবাইল প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। ২ ফেব্রæয়ারি বিকেলে গোবিন্দপুর নতুন বাস স্টান্ড থেকে শত শত নারী-পুরুষ বিক্ষোভ শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা এরশাদ মঞ্চে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। বিক্ষোভে ও প্রতিবাদ সমাবেশে কয়েক হাজার মানুষ মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলীর পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
এ সময় বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক পৌর মেয়র এম সবেদ আলী বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে আনন্দধাম হাউসপুর মোবাইল প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। রাতেই ভাংচুরের বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগে প্রেক্ষিতে যদি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে ৪৮ ঘন্টা পর আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আবারও মাঠে নামতেতে বাধ্য হব।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি, আব্দুল কুদ্দুস, উপজেলা জাসদের সভাপতি মোল্লা গোলাম সরোয়ার, সম্পাদক আনিসুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান, আলহাজ্বআনিসুজ্জামান আনু মিয়া, আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম মন্ডল, আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত সোমবার রাতে আলমডাঙ্গার দুই মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। রাত ৮টার দিকে পৌর এলাকার বÐবিল এলাকায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র মীর মহিউদ্দীনের ধানের শীষ প্রতীকের অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। একই সময় সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. সবেদ আলীর মোবাইলফোন প্রতীকের অফিস ভাংচুর করা হয় শহরের আনন্দধাম এলাকায়।
রাতেই এর প্রতিবাদে বীর মুক্তিযোদ্ধা সবেদ আলীর সমর্থকরা শহরে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে ১৫-২০টি মোটরসাইকেল যোগে আনন্দধাম এলাকায় মোবাইলফোন প্রতীকের অফিস ভাংচুর করে সটকে পড়ে। একই সময় বন্ডবিল গ্রামে মীর মহিউদ্দীনের ধানের শীষের অফিসেও হামলা চালায় একদল যুবক। তারা অফিসে ভাংচুর চালিয়ে স্থান ত্যাগ করে।