২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৌদিতে মালিক পরিবর্তন আইনে ব্যাপক ভাবে আলোচনার সম্মুখীন সরকার

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
নভেম্বর ৮, ২০২০
32
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

মাসুদ রানা,সৌদি আরব প্রতিনিধিঃ প্রবাসী শ্রমিকদের ব্যাপারে কাফালা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সৌদি আরব। ফলে শ্রমিকরা স্বাধীনভাবে কাজ পরিবর্তন করতে পারবেন। চাইলে দেশেও ফিরে যেতে পারবেন। এতে সৌদি আরবে বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীরা কতটা উপকৃত হবেন? কাফালা শব্দটি আরবি ‘কফিল’ শব্দ থেকে এসেছে। কফিল মানে মালিক। কাফালা আইন অনুযায়ী, প্রবাসী কর্মীরা সেখানে একজন মালিকের অধীনে কাজ করতে যান।

তার অনুমতি ছাড়া নতুন কোনো জায়গায় কাজ নেয়া বা দেশে ফেরা বেআইনি।এমনকি নির্যাতনের শিকার হলেও না। নির্যাতনের শিকার হয়ে কেউ পালিয়ে গেলে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। কেউ মারা গেলে মালিকের অনুমতি ছাড়া দেশে লাশও পাঠানো যায় না। এই আইনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার সংগঠনসহ নানা মহল থেকে অনেক দিন ধরেই কথা হচ্ছিল। অবশেষে সৌদি আরবের জনশক্তি উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন নাসের আবুথুনাইন বুধবার রিয়াদে কাফালা নীতিতে পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছেন।

আগামী মার্চ মাস থেকে তা কার্যকর হবে।সেটা হলে সৌদি আরবে প্রবাসী কর্মীরা মালিকের অনুমতি ছাড়াই স্বাধীনভাবে তাদের কাজ বা চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন। মালিক কোনো বাধা দিতে পারবেন না। আর কেউ চাইলে দেশেও ফিরে যেতে পারবেন। সৌদি মন্ত্রী বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা একটি আকর্ষণীয় শ্রমবাজার গড়ে তুলতে চাই, এখানে কাজের পরিবেশকে উন্নত করতে চাই। আরো জানানো হয়েছে, প্রবাসী কর্মীরা মালিকের অনুমতি ছাড়াই সেখানকার সরকারি সেবার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তারা স্বাধীনভাবে সৌদি আরবের ভেতরে ও বাইরে ভ্রমণ করতে পারবেন।

তাদের নিয়োগের চুক্তি ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হবেনতুন এই পদ্ধতি চালু হলে বাংলাদেশের কর্মীরাও সেখানে সুবিধা পাবেন বলে মনে করেন ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান। তবে আইনটি কার্যকর হওয়ার আগে আসলে বলা সম্ভব নয় যে কতটা সুবিধা প্রবাসী কর্মীরা পাবেন। সৌদি আরবে এখন বিভিন্ন দেশের প্রায় ১ কোটি প্রবাসী কর্মী রয়েছেন। তার মধ্যে ২০ লাখ বৈধ বাংলাদেশি আছেন। আর বাংলাদেশিদের মধ্যে তিন লাখ নারী কর্মী, যারা গৃহকর্মী হিসেবে দেশটিতে কাজ করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে প্রতিমাসে বাংলাদেশ থেকে গড়ে ৪০ হাজার কর্মী যান সৌদি আরবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১০ হাজারের মতো বাংলাদেশি নাগরিক ডিপোর্টেশন সেন্টারে আছেন। তার অধিকাংশই সৌদি আরবে। ২০১৪ সালে আট লাখ বাংলাদেশি সেখানে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram