২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরবরাহ কম থাকায় ঝিনাইদহে হু হু করে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম!

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
অক্টোবর ১১, ২০২১
23
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ- সরবরাহ কম থাকায় ঝিনাইদহে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে মণপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা। দাম বেশি হওয়ায় খুশি কৃষকরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে দাম। নেই দাম কমার সম্ভাবনা। ঝিনাইদহের শৈলকুপা পেঁয়াজের হাট। ভোর থেকেই এই হাটে পেঁয়াজ নিয়ে হাজির হন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জমে ওঠে বেচাকেনা। শনিবার (৯ অক্টোবর) জেলার সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের বাজার শৈলকুপা হাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমণ পেঁয়াজ প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৪শ’ থেকে ২৭শ’ টাকা, যা গত ২ সপ্তাহ আগেও ছিল ১৩শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা।

১০ দিন আগে যে পেঁয়াজ ১৪শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছিল সে পেঁয়াজ বর্তমানে ২৭শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার ফলে কিছুটা লাভবান হচ্ছেন কৃষক। দাম বাড়ার বিষয়ে, শৈলকুপা উপজেলার বৃত্তিদেবী রাজনগর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ২৫ মণ পেঁয়াজ এনেছিলাম। ২৩শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। এখন যে দাম পাওয়া যাচ্ছে তাতে কৃষক কিছুটা লাভবান হচ্ছে। এভাবে কিছুদিন দাম থাকলে চাষিদের আরও একটু লাভ হবে। বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ছোট সাইজের পেঁয়াজ। আগাম মুড়িকাটি পেঁয়াজ লাগানোর জন্য ছোট পেঁয়াজ বীজ হিসেবে ব্যবহার হবে। তাই তার চাহিদা বেশি থাকায় সে পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

বর্তমানে দাম বেশি হওয়ায় খুশি কৃষকরা। ফুলহরি গ্রামের কৃষক রাশেদ উদ্দিন জানান, গত ২ সপ্তাহ আগেও পেঁয়াজের দাম ১৪শ’ সাড়ে ১৪শ’ টাকা ছিল। সেই সময় আমরা খুবই বিপদে পড়েছিলাম। এখন দাম বাড়ার কারণে আমরা খুশি। এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে তাতে লাভ হবে। তবে দাম বেশি থাকায় খুশিও হলে তাদের অভিযোগ কৃষকদের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে কৃষক জমির উদ্দিন বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে কৃষকের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। তবে যদি বেশি সময় ধরে পেঁয়াজের দাম এমন থাকত তাহলে আমরা আরও লাভবান হতাম। এখন দাম বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে।

কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বর্তমানে পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। শৈলকুপা বণিক সমিতির সদস্য ফারুক আহম্মেদ বলেন, এখন পেঁয়াজের সরবরাহ কম। কৃষকের ঘরে যে পেঁয়াজ ছিল তা পচে গেছে আর শুকিয়ে গেছে। যে কারণে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। দাম বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে এটি। আগামী ১-২ মাস পেঁয়াজের দাম এমনই থাকতে পারে, এমনকি দাম বাড়তেও পারে। শৈলকুপা বণিক সমিতির দেওয়া তথ্যমতে, প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার শৈলকুপার এই হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার পেঁয়াজ কেনাবেচা হয়, যা পাঠানো হয় ঢাকা, খুলনা, সিলেট, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram