২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সন্ত্রাসী না হয়েও দীর্ঘ ১৫ বছরের পলাতক জীবনের অবসান ঘটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে মুকুল

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
মার্চ ৯, ২০২১
27
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

সন্ত্রাসী না হয়েও দীর্ঘ ১৫ বছরের পলাতক জীবনের অবসান ঘটিয়ে মুকুলের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। ৯ মার্চ বেলা ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের নির্দেশে আলমডাঙ্গা থানায় আত্মসমর্পন করে মুকুল স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। গ্রামবাসি সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়ায় মুকুল দীর্ঘ ১৫ বছর এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে আসছিলেন।


জানাগেছে, উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে মুকুল(৩৭)। মুকুলের নানা বাড়ি কুমারি ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে। ২০০০ সালে এসএসসি পাশ করার পর নানা বাড়িতে যাওয়া আসার একপর্যায়ে গ্রাম্য মামা পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা আবির হাসানের সাথে তার পরিচয় হয়। সেই সুবাদে মাঝে মাঝে আবির হাসান বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মুকুলের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। সে সময় থেকেই গ্রামবাসি মুকুলকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে। তখন থেকে মুকুলের জন্য গ্রামে থাকা দুরুহ হয়ে পড়ে। গ্রামে কোন ঘটনা ঘটলেই মুকুলের নাম হতে শুরু করে। গ্রামের মানুষ মুকুলকে বিভিন্ন ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে থাকে। ২০০৪ সালের শেষে দিকে মুকুল গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়। তখন থেকে মুকুল কোন সময় ঢাকায় টাইস মিস্ত্রেরী, কোন সময় সে রাজ মিস্ত্রীরির কাজ করে নিজের খরচ চালাতো। মুকলের স্ত্রী কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলায় বাপের বাড়িতেই বসবাস করতো। মুকলের একটি মাত্র ছেলে বয়স এখন ১৪ বছর। মিথ্যা সন্ত্রাসী আখ্যায়িত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে দীর্ঘ ১৫ বছর। এ জীবন আর কত দিন। মুকুল চিন্তা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে হবে। মুকুলের নামে নেই কোন মামলা, নেই কোন অভিযোগ। তবুও সে নামধারী সন্ত্রাসী।


কয়েকদিন আগে মুকুল জেলা কৃষকলীগের সহসভাপতি আশাদুল ইসলামকে সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নিকট গিয়ে হাজির হয়। পুলিশ সুপারের নিকট তার জীবনের সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন। পুলিশ সুপারের নিকট মুকুল স্বাভাবিক জীবনে ফেলার সুযোগ চান। পরে পুলিশ সুপার আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীরের নিকট আত্মসমর্পন করার পরামর্শ দেন।

পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে ৯ মার্চ বেলা ১১ টার দিকে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীরের নিকট আত্মসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান। এসময় আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মুকুলকে রজনীগন্ধ ফুলের স্টিক হাতে তুলে দিয়ে তাকে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার সুযোগ দেন।


আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর বলেন, সস্ত্রাসী না হয়েও মুকুল দীর্ঘ বছর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিল। সে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার জন্য আলমডাঙ্গা থানায় আত্মসমর্পন করেন। আলমডাঙ্গা থানায় তার নামে কোন মামলা নেই। শর্ত সাপেক্ষে তাকে স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ দেওয়া হলো।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram