২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্তানের মত লালনপালন করা গরু মহিষ চুরি করে সর্বশান্ত করে দিয়েছে চোরচক্র

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
জানুয়ারি ২৯, ২০২১
47
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

শরিফুল ইসলাম রোকন: সন্তানের মত লালনপালন করা গরু মহিষ চুরি করে নিয়ে আলমডাঙ্গা বন্ডবিল সহ আশপাশ গ্রামের বেশকিছু কৃষকের সর্বশান্ত করে দিয়েছে চোরচক্র। আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বন্ডবিল গ্রামে ও কুমারী ইউনিয়নের পারদুর্গাপুর, নওদাদুর্গাপুর বেশ কিছুদিন ধরে ঘটছে গরু মহিষ চুরির হিড়িক পড়েছে। গত ৭/৮ দিনে ব্যবধানে বন্ডবিল গ্রাম থেকে চুরি হয়েছে ব্যবধানে ৩ টি গরু ও ২টি মহিষ।

জানাগেছে,  আলমডাঙ্গা বন্ডবিল গ্রামের  রওশন আলীর ছেলে চাঁদ আলী পেশায় একজন কৃষক। মাথার ঘাঁম পায়ে ফেলে দিনরাত্রি পরিশ্রম করে বাড়িতে ৩টি গরু লালনপালন করছিলেন। গত মঙ্গলবার রাতে কৃষক চাঁদ আলী গরু তিনটি চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্র। গভীর রাতে গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে গরু ৩টি চুরি করে নিয়ে যায়। 

এ বিষয়ে গরু মালিক চাঁদ আলী বলেন, আমি কৃষি কাজ করে সংসার চালায়। না খেয়ে অনেক কষ্ট করে বেশ কিছুদিন আগে তিনটি গরু কিনে নিজের ছেলে মেয়ের মত করে লালন পালন করে আসছি। প্রতিদিনের ন্যায় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে গোয়ালঘরে গরু ৩টি বেঁধে গোয়াল ঘরে বেধে গেটে তালাবদ্ধ করি। রাত বার টার দিকে ঘুম থেকে উঠে আমার ছেলে গরু গুলোর খাবার দিয়ে ঘুমাতে চলে যায়। রাত দুইটার দিকে আমার মেয়ের কান্না শুনে ঘুম থেকে উঠি জানতে পারি গোয়াল ঘরে গরু নাই। এসময় আমার কান্না ও চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসে। যখন গোয়ালে ৩টি গরু নেই তখন বুঝতে পারলাম চুরি হয়ে গেছে। পর দিন সকালে আমার ছেলে মিরানুল ইসলাম আলমডাঙ্গা থানায় গরু চুরি হয়েছে মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

গরুর মালিকের ছেলে মিনারুল ইসলাম বলেন, বোনের কান্নায় তড়িঘড়ি করে ঘুম থেকে উঠে ছুটি গিয়ে দেখি গরু তিনটির একটিও গোয়াল ঘরে নেই, চারপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করি ,কোথাও না পেয়ে চিৎকার শুরু করি ও আশেপাশের মানুষদের সাথে নিয়ে, আশে পাশের মাঠে অনেক খোঁজাখুঁজির পর যখন গরু না পাই। তখন বুঝতে পারি আমাদের গরু চুরি হয়ে গেছে।

চাঁদ আলীর গরু চুরির কয়েকদিন আগে একই ভাবে গেট বন্ডবিল পাড়ার ঠান্ডুর ছেলে লিটনের একজোড়া মহিষ চুরি করে নিয়ে যায়। লিটন আলী বলেন, গভীর রাতে প্রতিদিনের ন্যায় মহিষের ঘাস দেওয়ার জন্য গোয়ালে গিয়ে দেখি আমার মহিষ ২টি নেই। আমার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসে। তাদেরকে সাথে নিয়ে গ্রামের সব মাঠে অনেক খোজাখুজির পর বুঝতে পারি আমার মহিষ চুরি করে নিয়ে গেছে। মহিষ চুরি হওয়ায় কৃষক লিটন আলী সর্বশান্ত হয়ে গেছেন।

এছাড়াও একই গ্রাম থেকে ২০/২৫ দিন আগে গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের ২ টি মহিষসহ প্রায় ২০টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। বন্ডবিলের পার্শ¦বর্তি কুমারী ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রাম থেকে বেশকিছুদিন ধরে একেপর এক গরু, মহিষ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। অনেকে থানায় সাধারন ডায়েরী করেছে আবার অনেকে করেননি।

এ বিষয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ বলেন একের পর এক গ্রামে গরু মহিষ চুরির ঘটনা ঘটছে। এসব চুরির সাথে কে বা কাহারা জড়িত আমরা এখনও তা জানতে বা বুঝতে পারছি না। আমরা এখন জানমালের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবির জানান, বন্ডবিল সহ আশপাশ এলাকায় গরু চুরির ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের নাম উৎঘাটন ও গ্রেতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ওই এল্কাায় সাধারন মানুষদের সাথে কথা বলেছি। সাধারন মানুষ গ্রামে জায়গায় নিজেরাই পাহারার দিচ্ছে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram