১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপা গাড়াগঞ্জ মিঞা জিন্নাহ আলম কলেজে ২০ বছর আগের হাজিরা

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
অক্টোবর ২, ২০২১
41
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ মিঞা জিন্নাহ আলম ডিগ্রী কলেজ ৬ শিক্ষকের নিয়োগে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে ২০ বছরের পিছনের হাজিরা খাতার হাজিরা দেখিয়ে অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে কলেজের অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত সোমবার গাড়াগঞ্জ মিঞা জিন্নাহ আলম ডিগ্রী কলেজের বেশ কিছু ছাত্র ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে "অবৈধ ভাবে ব্যাক ডেটে শিক্ষক নিয়োগ তদন্ত প্রসঙ্গে" একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করে।

এ সময়ে কার্যালয়ে জেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার উপস্থিত না থাকায় শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী আবু সাইদ তাদের অভিযোগ পত্র গ্রহণ করেন। অত্র কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ পত্রে বলেন দীর্ঘদিন যাবত কলেজটি সুনামের সহিত লেখা পড়া কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। কিন্তু বিগত ১৮/০৯/২০২১ তারিখ থেকে আমারা ৫ জন নতুন শিক্ষককে কলেজে দেখতে পাই। পরে সেই নতুন শিক্ষকরা কলেজে ক্লাসে পাঠদানে অংশ গ্রহণ করেন। তাদের পাঠদানের কোন যোগ্যতা নেই। পরে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ তরিকুল ইসলাম ২০০৫ সালের পূর্বে তাদেরকে যোগদান দেখিয়ে অত্র কলেজে নিয়োগ দান করেন। কিন্তুু ২০০৫ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত অত্র কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদেরকে কখনোই কলেজের শিক্ষক হিসাবে শিক্ষকতা করিতে দেখে নাই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তাদের সকলের বয়স পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব, ইতিপুর্বে এসব নতুন শিক্ষকরা বিভিন্ন এনজিও তে চাকুরী করিত এবং তাদের অনেকের শিক্ষক নিবন্ধন নেই। বিষয়টি নিয়ে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনা চলছে। অভিযোগ পত্রে আরও উল্লেখ আছে ইতিপূর্বে শ্রী মৃত্যুঞ্জয় কুমার চাকীকে ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন বিষয়ে ব্যাক ডেট দেখিয়ে নিয়োগ দিয়ে বেতন অনুমোদন করেছে। উল্লেখ্য ২০১৫ সালের পর থেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত দায়িত্ব যেখানে এন টি আর সি এ এর উপর।

সেখানে বর্তমানে কি ভাবে ২০২১ সালে কলেজ কর্তৃপক্ষ ৬ জন (ইংরেজি, অর্থনীতি, ইতিহাস, ব্যবস্থাপনা, পৌরনীতি) শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করেন। বিষয়টি সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে শিক্ষক হাজিরা খাতা ও কলেজ শিক্ষকদের বেতন ভাতার হিসাব তদন্ত করিলে ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। এ প্রসঙ্গে গাড়াগঞ্জ মিঞা জিন্নাহ আলম ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। ঐ ভাবে কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় না। ২০১৫ সাল থেকে বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব এন টি আর সি এ এর উপর। কেউ যদি কোন অভিযোগ করে থাকে তাহলে সে অভিযোগ ভিত্তিহীন।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram