১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপায় ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ: কিশোরী গর্ভবতী

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
অক্টোবর ১৪, ২০২০
40
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বড়বাড়ি-বগুড়া গ্রামের ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষনের ফলে এখন তার গর্ভে চার মাসের সন্তান। আর এই সন্তান গর্ভে নিয়ে ঘরের মধ্যেই মূখ লুকিয়ে থাকছে সে। অন্যদিকে ধর্ষক ও তার সহযোগিরা মামলার আসামী হয়েও বীরদর্পে ঘুরছে এলাকায়। মাঝে মধ্যে ধর্ষিতার পরিবারের উপর চড়াও হয়ে মামলা মিটিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে। তাদের এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লাঠিসোটা দিয়ে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুরও করা হয়েছে।

ধর্ষিত কিশোরীর মা জানান, পাশ^বর্তী কুশবাড়িয়া গ্রামে তার বিয়ে হয়। তার দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে (২২) বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়ে (১৩) পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ালেখা করে। স্বামী আরেকটি বিয়ে করায় তিনি রাগ করে বাবার বাড়ি চলে আসেন। গ্রামে এসে মাসে ৫০০ টাকার বেতনে প্রতিবন্ধী নারী শাহিদা খাতুনের (৫৫) সেবা করেন। গত জুলাই মাসের ৫ তারিখ কিশোরী মেয়েকে বাড়িতে রেখে তিনি কাজ করতে যান। ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষন করে প্রতিবেশি সামায়াত মোল্লার ছেলে মিলন মোল্লা (৩৫)। একথা যানাজানি হলে মেরে ফেলার হুমকী দেয় মিলন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ভয়ে তারা মুখ খুলতে সাহস পায়নি।

এক মাস পর কিশোরী মেয়েটি বমি করা শুরু করলে ডাক্তার দেখান। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হন তার মেয়ে গর্ভবতি। এই অবস্থায় সেপ্টেম্বর মাসের ১৩ তারিখ কিশোরীর মা ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মিলন মোল্লাকে প্রধান আসামী করা হয়। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে থানায় নথিভুক্ত করতে শৈলকুপা থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশ আদালতের নির্দেশ পেয়ে মামলাটি নথিভুক্ত করলেও আজো একজন আসামীও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উল্টো আসামীরা ধর্ষিতা কিশোরীর বাড়িতে এসে নানা ভাবে হুমকী দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

বলা হচ্ছে মামলা মিটিয়ে না নিলে বড় ক্ষতি হবে বলে। এ বিষয়ে মামলার আসামী মিলন মোল্লা জানান, তার স্ত্রী মিতা মোল্লা মারা গেছে আনুমানিক ২ মাস হয়েছে। ১৪ বছর বয়সের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তিনি এখন পথে পথে। তিনি এই ঘটনার একটা সমাধান চান। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আরেক আসামী স্থানীয় আবাইপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ফরিদ মুন্সি জানান, তাকে সামাজিক ভাবে ক্ষতি করতে এই মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি এই ঘটনার কিছুই জানেন না। বিষটি নিয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, আদালতের নির্দেশ পেয়ে তারা মামলাটি নথিভুক্ত করেন। এরপর আসামী গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা করছেন। আশা করছেন দ্রæত তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram