শৈলকুপায় জমি দখলের পায়তারা, গাছ কেটে সাবাড়, থানায় মামলা
জাহিদুর রহমান তারিক, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স¤প্রতি একের পর এক বেড়েই চলেছে ফলজ-বনজ ও ফসলী জমির শস্য কর্তনের অভিযোগ। এবার প্রতিপক্ষের জমি দখল করতে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে দামুকদিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর নামের এক কৃষক বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেছেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ কর্তনকৃত গাছ উদ্ধার করেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৯নং মনোহরপুর ইউনিয়নের দামুকদিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন জমিজমার বিরোধ চলে আসছে, যা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বাদীর অভিযোগ, ১১৯নং বিষ্ণুদিয়া মৌজার ৫৬নং খতিয়ানের ১৫ নং দাগের জমিতে থাকা সেগুন, নিম, গামারি, জাম্বু কাঁঠাল, বাঁশ ও আম গাছ রয়েছে। এর মধ্যে অনুমান মূল্য ২ লাখ টাকা মূল্যের একটি নিম ও সেগুন গাছ জোর পূর্বক কেটে নিয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্তগণ গত সপ্তাহে তার মাঠে থাকা ধরন্ত কলাগাছ কেটে সাবাড় করেছে বলে অভিযোগ করেন।
খোঁজ নিয়ে যানা গেছে ওই গ্রামের মাঠে রাতের আধাঁরে একাধিকবার ফসল কর্তনের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অবগত করানো হয়েছে। বর্তমানে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে দলে লোক ভেড়ানো, সামাজিক নেতৃত্বের নানা রুপরেখা নিয়ে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। অপকৌশল আর মামলা হামলায় পর্যবশিত গ্রামের নিরিহ কৃষককুলের ফসল ও গাছপালা কর্তনে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এলাকার সচেতন মানুষের দাবি, রাজনৈতিক পতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অপকৌশলে একের পর এক গাছপালা ফসলাদী নিধন করা হলে এলাকার আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তবে বিরোধপূর্ণ জমাজমি দখল করতেই দামুকদিয়া গ্রামে গাছ কর্তনের ঘটনা ঘটেছে বলে একাধিক গ্রামবাসী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে শৈলকুপার থানার তদন্ত ওসি মহসীন হোসেন জানান, দামুকদিয়া গ্রামে গাছ কর্তনের অভিযোগ এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।