২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপার উমেদপুর গ্রামে ভোটার মাত্র চার’শ, তাই তাদের কপালে জোটেনি কোন পাকা রাস্তা!

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
25
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ গ্রামের নামে ইউনিয়ন অথচ সেই গ্রামে নেই কোন রাস্তা-ঘাট, এমন কি ভাল কাঁচা রাস্তাও। গ্রামবাসী বর্ষাকালে কাঁদা-পানি পাড়ি দিয়ে যাতায়ত করতেন। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন বা কোন ধরনের সরকারী বরাদ্ধ কখনো জোটেনি গ্রামবাসীর কপালে। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের উমেদপুর ছিল এমনই একটি গ্রাম। গ্রামটিতে ভোটার মাত্র চার’শ।

কম লোকসংখ্যার কারণেই হয়তো সেখানকার বসতিদের কপালে জোটেনি কোন পাকা রাস্তা। জনপ্রতিনিধিদের কাছেও থেকেছে উপেক্ষিত। যুগ থেকে যুগান্তর পার হয়ে গেলেও সেখানকার কৃষক, শ্রমজীবি, খেঁটে খাওয়া মানুষগুলোর যাতায়ত-চলাচলের জন্য হয়নি কোন পাকা রাস্তা। এমনকি ছিল না ভাল কাঁচা রাস্তাও। এমন অবহেলিত অবস্থা দেখে ব্যাক্তি উদ্যোগে নয় লাখ টাকা খরচ করে গ্রামবাসীর জন্য রাস্তা করে দিলেন নিয়ামুল করিম টিপু নামে এক দানশীল ব্যাক্তি। তিনি দেশের মিকা ফার্মা কেয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার বাড়িও উমেদপুর গ্রামে। গ্রামবাসী জানান, প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা এখন পাকা হওয়ায় তাদের যাতায়াত সমস্যা মিটে গেছে। গ্রামটির বয়োজোষ্ঠরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নিয়ামুল করিম টিপুর মাটি ফাউন্ডেশনের প্রতি।

গ্রামবাসী খুশি হয়ে টিপুর প্রো-পিতামহ হাফেজ আব্দুল করিমের নামে সড়কটির নামকরণ করেছেন। শুক্রবার বিকালে রাস্তাটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে নিয়ামুল করিম টিপু জানান, ছোট কাল থেকেই দেখে আসছি গ্রামের রাস্তাটির বেহালদশা। কিন্ত সামর্থ না থাকাই কিছু করতে পারেননি। এখন স্বাবলম্বী হওয়ায় গ্রামবাসির জন্য রাস্তাটি করে দিলাম। গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান ও মোজাব্বার আলী সাদি জানান, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের কাছে বছরের পর বছর ধর্ণা দিয়েও তারা কথা রাখেননি।

অথচ ভোটের সময় তারা কত মিথ্যা প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। এদিকে ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান সাবদার হোসেন মোল্লা তার নিজ ইউনিয়নে ব্যক্তি উদ্যোগে এমন রাস্তা নির্মানের কথা জানেন না। তিনি বলেন, গ্রামটির রাস্তাটি নির্মান হওয়া সম্পর্কে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। অথচ তিনি ওই ইউনিয়নের একাধিকবার নির্বাচিত আওয়ামীলীগের আউপি চেয়ারম্যান। তার ছেলে শামীম হোসেন মোল্লাও ছিলেন উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram