শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আলমডাঙ্গার মা ক্লিনিক ভাংচুর
শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আলমডাঙ্গার মা ক্লিনিক ভাংচুরের করা হয়েছে।
জানা যায়, আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর গ্রামের ওল্টুর স্ত্রী মনিরা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে তাকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আলমডাঙ্গার মা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন রাতে প্রসূতির সিজার অপারেশনের মাধ্যমে পুত্র সন্তান প্রসব করে। ডাক্তার লীফা নারসিস চৈতালী ওই সিজার অপারেশন করেন। গত সোমবার হঠাত করে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে মেহেরপুর সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু বিশেষজ্ঞ হাবিবুর রহমানের আলমডাঙ্গাস্থ চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার হাবিবুর রহমান শিশুটিকে চিকিৎসা প্রদান করেন। ২ মার্চ সন্ধ্যায় শিশুটি ক্লিনিকে মারা যায়।
এদিকে, শিশুটির মৃত্যকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ আত্মীয়স্বজন সন্ধ্যার পর মা ক্লিনিকে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। থাই কাচের দরজা ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং সাটার ভাঙ্গার চেষ্টা কেেরছে । ভুল চিকিৎসা ও অন্য চিকিৎসকের নিকট নিয়ে যেতে বাঁধা দেওয়ার ফলে শিশুটি মারা গেছে বলে প্রসূতির আত্মীয় স্বজনের অভিযোগ। তবে এ শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তারা মামলা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
মা ক্লিনিক মালিক আনোয়ার হোসেন জালাল জানান, আমার ক্লিনিকে প্রসূতির অপারেশন কিংবা অপারেশনের পর সেবার কোন অনিয়ম বা ত্রূটি হয়নি। ভূমিষ্ঠের পর শিশুটি সুস্থ ছিল। তারপরও ক্লিনিকের উপর হামলা করা হয়েছে।
শিশু বিশেষজ্ঞ হাবিবুর রহমান বলেন, আমার নিকট যখন শিশুটিকে নিয়ে আসা হয়, তখন শিশুটি সুস্থ ছিল। আমার ধারণা – শিশুটিকে দুধ খাওয়ানোর সময় শ্বাসনালীতে আটকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে।
এলাকাসূত্রে জানা যায়, মনিরা খাতুন – ওল্টু দম্পতির দীর্ঘ ৮ বছর পর এই প্রথম সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। এই সন্তান ভূমিষ্ঠকে কেন্দ্র করে আত্মীয় স্বজনের মাঝে বাঁধভাঙ্গা আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। কিন্তু আকস্মিক শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় শোকবিহ্বল আত্মীয়স্বজন ক্লিনিকে হামলা চালায়।