২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকের উত্ত্যক্তে আত্মহত্যা করেছে প্রবাসির রূপবতী স্ত্রীঃ ৪ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
16
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গা উপজেলার কামালপুর গ্রামে শাকিল নামের এক শিক্ষকের উত্ত্যক্তে আত্মহত্যা করেছেন প্রবাসীর রূপবতী স্ত্রী। ২৫ ফেব্রæয়ারি শুক্রবার ভোরে উপজেলার কামালপুর গ্রামে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। চিহ্নিত ওই শিক্ষকসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করা হয়েছে।


ঘটনাস্থল ঘুরে জানা যায়, কামালপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম গত প্রায় ৫ মাস পূর্বে সৌদি আরব গেছেন। ৫ বছরের শিশুকন্যা নিয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকেন রূপবতী স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (২৫)। আগে থেকেই রূপবতী সোনিয়া খাতুনের উপর নজর পড়েছিল একই গ্রামের শাকিল হোসেনের। কামালপুর গ্রামের মঙ্গল আলীর ছেলে শাকিল হোসেন (৪৫) আঠারোখাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার পর থেকেই শাকিল হোসেন খুব বেশি উত্ত্যক্ত করছিল।


গ্রামসূত্রে জানা যায়, স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার পর প্রতিবেশি ছোট ভাইয়ের বউ সোনিয়া খাতুনের সাথে শাকিল হোসেন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত এক মাস পূর্ব থেকে সোনিয়া খাতুন সে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে। শাকিল হোসেনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন শাকিল হোসেন। তার সাথে সোনিয়ার পরোকীয়ার সম্পর্ক আছে বলে গ্রামে প্রচার শুরু করে শাকিল। পরে শাকিলের সাথে একই গ্রামের মৃত খবিরের ছেলে বয়স্ক কলিম উদ্দীন, ফনির ছেলে দোকানি রনি, আবুল কাশেমের ছেলে উজ্জ্বলও সোনিয়া খাতুনকে উত্ত্যক্ত শুরু করে। এই ৪ ব্যক্তির অপকর্মের বিষয়ে গ্রামের অনেকেই এখন খোলাখুলি বলাবলি করছেন। এ সব কথা সোনিয়া শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে জানালেও অজ্ঞাত কারণে তারা কোন পদক্ষেপ নেননি। শাকিল হোসেনের পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহস ছিল না সোনিয়ার শ্বশুরের পরিবারের। এরই এক পর্যায়ে ২৫ ফেব্রæয়ারি ভোরে ঘরের আড়াই গলায় ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ আত্মহত্যার পর পর অভিযুক্ত ৪ ব্যক্তিই নিরুদ্দেশ রয়েছেন।


এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাকিল হোসেন বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। ৭/৮ বছর পূর্বে শেফালী খাতুন নামের পাঁচলিয়া গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন। শেফালী খাতুনও শিক্ষক। তারা স্বামী-স্ত্রী আঠারখাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী করেন।


এ ঘটনায় সোনিয়া খাতুনের বাবা সকির উদ্দীন বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলা দায়ের করেছেন।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram