২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লিবিয়ায় অপহরণ করে চাঁদাবাজি ও হুন্ডি সিন্ডিকেটের ২ হোতা গ্রেফতার

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
নভেম্বর ২, ২০২০
24
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

বিদেশে অপহরণ করে চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের ২ হোতাকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের সহযোগিতায় বগুড়া পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এদের একজন জামজামি বাজারের মল্লিক টেলিকমের মালিক কুষ্টিয়া ইবি থানার নৃসিংহপুরের মৃত তাঁরাচাঁদের ছেলে আব্দুর রহমান ও একই গ্রামের গ্রামের মকছেদ আলীর লিবিয়া ফেরত ছেলে আলমগীর হোসেন। আলমগীর হোসেন আন্তর্জাতিক অপহরণপূর্বক চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের বাংলাদেশের প্রধান বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত শুক্রবার দিনগত রাতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের সহযোগিতায় বগুড়া জেলার আদমদীঘি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সংশ্লিষ্ট এজাহার ও পুলিশসূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলার দোগাছী দুধচাচিয়ার ইয়াসিন আলীর ছেলে বাবু (৩৫) প্রায় ১ বচর আগে ৪ লাখ টাকায় লিবিয়া যান। প্রায় মাসাধিককাল পূর্বে অনেকের সাথে তিনি অবৈধভাবে ইতালি যাত্রা করেন। পথিমধ্যে পুলিশ তাদের আটক করে।

পুলিশের হাতে আটক অনেককেই লিবিয়া প্রবাসি নোয়াখালীর জনৈক ব্যক্তি মুক্ত করে লিবিয়ায় ফেরত পাঠায়। বাবুকেও ২ লাখ টাকার বিনিময়ে তিনি মুক্ত করে লিবিয়ায় পাঠান। লিবিয়ায় ফেরত যাওয়ার সময় এক অপহরণচক্র বাবুসহ ৮ জনকে অপহরণ করে।

পরে লিবিয়ার চিহ্নিত হুন্ডি ও অপহরক সিন্ডিকেটের নেতা কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার হালসার বাবু নামের আরেক ব্যক্তি অপহৃত বগুড়ার বাবুসহ ৮ ব্যক্তির পরিবারের নিকট মুক্তিপণ দাবি করে। অপহৃত বাবুর বাপ ইয়াসিন আলীর নিকট ফোন করে ৮ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা পরিশোধের জন্য ৬টি বিকাশ নং দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অপহৃতের বাপ সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়ের করেন।

৬টি বিকাশ নম্বরের সবগুলিই আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি বাজারের মল্লিক টেলিকমের। কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার নৃসিংহপুর গ্রামের তাঁরাচাঁদের ছেলে আব্দুর রহমান এ মল্লিক টেলিকমের মালিক। বগুড়া জেলার আদমদীঘি সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার কেএইচএম এরশাদ এ চক্রকে গ্রেফতার করতে জোর প্রচেষ্টা চালান।

৩১ অক্টোবর ভোরে তিনি আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে মল্লিক টেলিকমের মালিক আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই গ্রামের আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেন।

বগুড়া জেলার আদমদীঘি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কেএইচএম এরশাদ জানান, জামজামির মল্লিক টেলিকমের ৬টি বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে সব মুক্তিপণ আদায় করা হয়। তাছাড়া, হালসার বাবুর হুন্ডির ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণ করেন আব্দুর রহমান। আব্দুর রহমান বগুড়ার বাবুর বাপের নিকট থেকে মুক্তিপণ ৮ লাখ টাকা পাবে। তার আশায় অগ্রীম ২ লাখ টাকা নিজ থেকে হুন্ডি ব্যবসার দাবি মিটিয়েছে। তাছাড়া, লিবিয়ার এ চক্রের বাংলাদেশের প্রধান আলমগীর হোসেন। সন্ধ্যায় গ্রেফতার দুজনকে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram