২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুর যুবলীগের বঙ্গবন্ধুর প্রকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
জুন ৭, ২০২১
25
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

মেহেরপুর প্রতিনিধি। ১৯৬৬ সালের ১৮,১৯,ও ২০ মার্চের আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সর্ব সম্মতিক্রমে এই ৬ দফা পাশ করা হয় । এর পর সারা দেশে ৬ দফার ব্যপক প্রচার শুরু হয় । এরপর শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করা । বঙ্গবন্ধুর বিরূদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং গ্রেফতারের প্রতিবাদে মে মাসে আওয়ামী লীগের এক জরুরী সভায় ৭ জুন দেশ ব্যাপী হরতাল আহবান করা হয় ।

সেই হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নেতা মনু মিয়া সহ ১১ জন দলীয় নেতা কর্মী নিহত হয়েছিল । সেই দিন হতে ৭ই জুন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে । লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত বিরোধী দল সমূহের কনভেনশনে বাঙালির মুক্তি সনদ খ্যাত ছয় দফা উত্থাপন করে তার বিষয় অন্তর্ভুক্তের প্রস্তাব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা ও পুষ্প মাল্য অর্পন করা হয়।

সোমবার সকাল নয়টার সময় শামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমানসহ যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর নুরুল আশরাফ রাজিব, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজাদুর রহমান সাজু, ইউনুস আলী, রোকনুজ্জামান মতি, শেখ সরাফত, যুবলীগ নেতা ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হাসানুজ্জামান সেন্টু সহ যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ছয় দফা দাবির মূল উদ্দেশ্য ছিল- পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেল বা যৌথরাষ্ট্র এবং ছয় দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে এই ফেডারেশন বা যৌথরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে।

ছয় দফা কোন রাতারাতি কর্মসূচি ছিল না। এর প্রস্তুতি ছিল দীর্ঘদিনের। ‘৫২ এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, '৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ‘৬৬ এর ছয় দফার ভিত তৈরি হয়।

ছয় দফার দাবিগুলো ১. পাকিস্তান একটি সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় ফেডারেশন হিসেবে গঠিত হবে। ২. ফেডারেল সরকারের এখতিয়ারে থাকবে কেবল প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র। অন্যান্য বিষয় প্রদেশগুলোর হাতে থাকবে। ৩. প্রতিটি প্রদেশের জন্য পৃথক তবে অবাধে রূপান্তরযোগ্য মুদ্রা থাকবে। যদি একক মুদ্রা হয় তাহলে মুদ্রা হস্তান্তর রোধ করার উপায় থাকতে হবে। ৪. রাজস্ব থাকবে প্রদেশের হাতে। ৫. প্রতিটি প্রদেশের মুদ্রা আয়ের জন্য পৃথক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। ৬. আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিটি প্রদেশকে মিলিশিয়া রাখার অনুমতি দিতে হবে ।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram