১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে আবার বিক্ষোপঃ ৮ জন নিহত

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
মার্চ ১৯, ২০২১
29
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আট বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর আজ শুক্রবার পর্যন্ত মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মোট ২২০ জন নিহত হয়েছে।

মিয়ানমারের স্থানীয় গণমাধ্যম ‘মিয়ানমার নাউয়ের’ খবরে বলা হয়, আজ মিয়ানমারের অংবান শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী প্রকাশ্যে গুলি করে। এতে আট বিক্ষোভকারী নিহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাতজন। আর আরেকজনকে আহত অবস্থায় কালাউ শহরের হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

খবরে বলা হয়, সর্বশেষ শুক্রবারের মৃত্যুর সংখ্যা দিয়ে বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে আর আটক করা হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে। গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির স্টেট কাউন্সিলের অং সান সু চিসহ ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেতাদের আটক করার পর দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

শুক্রবার মিয়ানমারের বড় শহরে দেখা যায়, সামরিক জান্তার হামলার ভয়ে মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেশি দেশ থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বাস্তুচ্যুত মানুষদের ঢল মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির পূর্বের রাজধানী ইয়াঙ্গুনসহ ছয়টি শহরের ওপর মার্শাল ল জারি করেছে। এর ফলে প্রায় ২০ লাখ মানুষ সরাসরি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণে জীবন যাপন করছে।

শুক্রবার লোকদের শহর ছেড়ে গ্রামে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। কয়েকদিন আগে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যেখানে বিক্ষোভকারীদের হত্যা করেন সেখানকার এক ব্যক্তি বলেন, আমি কোনোভাবে এখানে নিরাপদ এবং সুরক্ষা বোধ করি না। কয়েক রাতে তিনি ঘুমাতে পারেননি উল্লেখ করে বলেন, আমি খুবই চিন্তিত কারণ সামনে আরও ভয়াবহ কিছু ঘটবে। কারণ, আমি যেখানে বসবাস করি সেখানে ব্যাপক সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিত রয়েছে এবং তারা রাস্তা থেকে মানুষদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ওই নারী আরও জানান, তিনি দেশের পশ্চিমে তার গ্রামের বাড়ি চলে যেতে চান আর তার জন্য বাসের টিকিটও কেটেছেন।

ইয়াঙ্গুন শহরের ২৯ বছর বয়সী এক যুবক বলেন, ব্যাপক দমন-পীড়নের কারণে চলতি সপ্তাহে তিনি ইয়াঙ্গুন ত্যাগ করেছেন। গ্রামে এসে তিনি নিরাপদ বোধ করছেন বলেও মন্তব্য করেন।

সেনাবাহিনী গত বছরের ৮ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে অভিযোগ করে অভ্যুত্থান করেছে। ওই নির্বাচনে সু চির রাজনৈতিক দল এনএলডি ব্যাপক ব্যবধানে জয় লাভ করে । সেনাবাহিনী নতুন করে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। মিয়ানমারের সাধারণ জনগণ সেনাবাহিনীর দাবি প্রত্যাখান করে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram