মাঘের কন কনে শীতের কুঁয়াশা আচ্ছন্ন সকালে নিন্ম আয়ের মানুষের পাশে নিয়ে ইউএনও
শরিফুল ইসলাম রোকন: মেঘলা আকাশে মাঘের শীতের সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে আলমডাঙ্গার গ্রামাঞ্চল। ঘন কুঁয়াশা আর কনকনে ঠান্ডার স্থবির হয়ে পড়েছে আলমডাঙ্গার গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের জনজীবন। এরকম ঘন কুঁয়াশা আসন্ন আবহাওয়ায় গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবিরাও।
ঘন কুঁয়াশা আচ্ছন্ন সকালে সবাই যখন সূর্যের অপেক্ষায় ঘুমিয়ে আছে। ঠিক সেই সময় আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: লিটন আলী কুঁয়াশা আসন্ন সকালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হককে সাথে করে কন কন শীতে গরম কাপড় নিয়ে বেরিয়ে পড়েন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে। তিনি তার গাড়িতে কম্বল, বাচ্চাদের জন্য শীতের গরম কাপড়, মহিলা ও পুরুষদের জন্য চাদর নিয়ে গ্রামের অসহায় ও নিন্ম আয়ের মানুষে হাতে হাতে পৌছে দেন।
২০ জানুয়ারী সকাল থেকে সন্ধ্যাবদি তিনি উপজেলার জেহালা, নাগদাহ, আইলহাস, খাসকররা, বেলগাছী, ডাউকি ও কালিদাসপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ৫শ নিন্ম আয়ের নারী পুরুষের মাঝে কম্বল ও চাদর, এবং ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের হাতে শীতের গরম কাপড় তুলে দেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, শীত আমাদের জীবনে অভিশাপ হিসেবে আসে। অধিকাংশ রাতই শীতের কারণে আমরা ঘুমাতে পারি না। অনেক সময় আগুন জালিয়ে শীত নিবারণ করে থাকি। এই কম্বল ও চাদর একটু হলেও স্বস্তি বয়ে আনবে। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি এলাকার বৃত্তবান ও বিভিন্ন সংগঠন যদি শীতবস্ত্র বিতরণ করে তাহলে নিন্ম আয়ের মানুষ শীতের কষ্ট হতে রেহাই পাবে।