২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেতন গ্রেড নির্ধারণ কাজে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
জুন ২২, ২০২১
332
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গা উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ১৩ তম গ্রেডে নির্ধারণ করতে অবৈধভাবে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক প্রতি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা আদায়ের অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী অনেক শিক্ষক প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ শ জন সহকারী শিক্ষক আছেন। বর্তমানে তাদের বেতন স্কেল ১৩ তম গ্রেড নির্ধারণ কাজ চলছে। ১৩ তম গ্রেড নির্ধারণের কাজ করছে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস।

ইতোপূর্বে এ সংক্রান্ত দাফতরিক সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে উপজেলা শিক্ষা অফিস ফাইল উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে হস্তান্তর করেছে। ৫০ জন,শিক্ষকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের একটি করে লট করে এভাবে মোট ৭০০ শিক্ষকের ১৩ তম গ্রেড নির্ধারণ করার জন্য তথ্যাদি জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে ১৩ তম গ্রেড নির্ধারণ কাজ চলছে। উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি প্রত্যেক শিক্ষকের নিকট থেকে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নিয়ে গ্রেড নির্ধারণ ফিক্সেশন করছেন। যারা টাকা দিতে সম্মত হচ্ছেন না, তিনি তাদের নাম বাদ রেখে অন্য লটে চলে যাচ্ছেন। উপজেলার রংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষকের নাম গ্রেড নির্ধারণ ফিক্সেশনে উঠানো হলেও টাকা দেননি বলে ইসমাইল হোসেন নামের আরেক শিক্ষকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে।

এ অপকর্মে সহযোগিতা করছেন তার বন্ধু হিসেবে পরিচিত খাসকররা সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল হক। অভিযোগকারি একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, তাদের কাছে মোবাইলফোনে মেসেজ দিয়ে উৎকোচ দাবি করা হয়েছে। এমন অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল মজিদ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি জানান, " আমার নিকট একশ টাকা দাবি করেছিল। আমি এখনও দিইনি। এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসারের সাথে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এ উৎকোচ আদায় বন্ধ হয়নি।" এরশাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোলা ফেরদৌস উল আলম রিজভী জানান, আমাকে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা বলেছেন৷ যে আপনারা যারা নেতা তারা টাকা না দিলেও অন্য সাধারণ শিক্ষকদের টাকা তো তুলে দেবেন।

ফ্রীতে তো এখন আর কিছু হয় না।" উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ( মেয়াদোত্তীর্ণ) সভাপতি রেফাউল ইসলাম বলেন, "উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার এ উৎকোচ গ্রহণের ব্যাপারে প্রথম থেকেই আমি প্রতিবাদ করে আসছি। তিনি নির্লজ্জের মত শিক্ষকদের নিকট থেকে এ উৎকোচ আদায় করছেন। এই অপকর্মের জন্য হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার শাস্তি হওয়া উচিত।

" অভিযুক্ত উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন, " আমি কোন শিক্ষকের নিকট থেকে টাকা গ্রহণ করিনি।" তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, " আমি যে টাকা নিয়েছি তার কী প্রমাণ আপনার কাছে আছে?" চুয়াডাঙ্গা জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, " ৭০০ শিক্ষকের বেতনের গ্রেড নির্ধারণ ফিক্সেশন করা অনেক সময়ের ব্যাপার। এমনিতে অর্থ বছরের শেষ সময়। কাজের অতিরিক্ত চাপ। ধৈর্য ধরলে সকলের কাজ হবে। টাকা দিতে হবে না। আলমডাঙ্গা উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক কিনা জানিনা। তবে এটা করলে তিনি সঠিক কাজ করেননি।"

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram