২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রাইভেটকারের ধাক্কায় গুরুতর আহত ঝিনাইদহের মিলনের অবস্থা আশঙ্কাজনক,সন্তানকে বাঁচাতে পরিবারের আকুতি

প্রতিনিধি :
সুজন ইভান
আপডেট :
সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০
19
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের ফজলুল হক এর ছেলে মিলন(২৯)। গত দু’মাস পূর্বে মটর সাইকেলে বাসায় ফিরার পথে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। জানা যায়,ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান নগর বাথান থেকে মিলন মটর সাইকেলে করে বাসায় ফিরছিল। হলিধানী আখসেন্টার সংলগ্ন এলাকায় পৌছালে একটি বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার পিছন থেকে মিলনের বাইকে ধাক্কা দিলে সে ছিটকে পরে গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে মুন্না নামে এক ইজিবাইক চালক তাকে উদ্ধার করেন।

এ ব্যাপারে মুন্না প্রতিবেদককে জানান,প্রাইভেট কারটি হলিধানী আখসেন্টার সংলগ্ন এলাকায় মিলনের বাইকের পিছন থেকে ধাক্কা দেয় ,এতে সে ছিটকে পড়ে আহত হন।পরে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। এ ব্যাপারে আহত মিলনের মা জাহারন বেগম বলেন, আমাদের যা ছিল বিক্রি ও ধার দেনা করে ১৫/১৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলেছি, কাপাশাটিয়া বিনেদ পুর গ্রামের আবদারের রাসেল নামের ছেলেটা আমার ছেলেকে প্রাইভেট কার দিয়ে ধাক্কা দিলে সে গুরুতর আহত হয়।

আমি এর বিচার চাই,আমি নিজে বাদী হয়ে চালক রাসেলের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।তবে দু মাস অতিবাহিত হলেও কোন বিচার পাননি বলে তিনি অভিযোগ করেন। মিলনের বড় ভাই মশিয়ার রহমান জানান,সদর হাসপাতালে দুদিন চিকিৎসার পরে ডাক্তার তাকে ফরিদপুর মেডিক্যালে রেফার্ড করেন।অবস্থার অবনতি হলে পর দিন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। ঢাকাতে দীর্ঘ দেড় মাস চিকিৎসার পরেও তার জ্ঞ্যান ফেরেনি।

ডাক্তার বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতে নিলে হয়ত সে ভাল হতে পারে। কিন্তূ টাকার অভাবে তাকে ঢাকা থেকে পুনরায় ঝিনাইদহ রাবেয়া হাসপাতালে এনে কোন রকম চিকিৎসা দিচ্ছি। ইতিমধ্যে আমাদের যা ছিল তার সব মিলিয়ে প্রাই ১৫/১৬ লক্ষ টাকা চিকিৎসার জন্য ব্যয় করেছি।এখন তার চিকিৎসা খরচ বহন করা পরিবারের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছে না। তিনি আরও জানান, প্রথম দিকে সকল খরচ বহন করবে এই মর্মে বিভিন্ন মহলের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিল রাসেলের পরিবার। সাড়া না পেয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করি তবে দু মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে মূমূর্ষ মিলনের বড় ভাই মশিয়ার উপযুক্ত ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে রাসেলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে সে প্রতিবেদককে জানান,তাদের অভিযোগ পুরোপুরি সঠিক নয়,মিলন নিজেই আমাদের গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে পড়ে যায়।তবে মানবিক দিক থেকে আমি বসাবসি করতে রাজি আছি। বিষয়টি নিয়ে কাতলামারি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ আনিছুজ্জামান জনান,মিলনের মা থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর,ওসি স্যার বিষয়টির তদন্তভার আমাকে দিয়েছে। আমি দু পক্ষের বসা বসির জন্য চেষ্টা করছি। উল্লেখ্য, মিলনের পরিবারের তার চিকিৎসার জন্য ১৫/১৬ লক্ষটাকা টাকা খরচ করে এখন নিঃস্ব,ডাক্তার বলেছে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিতে হবে,তাই তাকে বাচাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন,তার পরিবার। যোগাযোগ মিলনের বড় ভাই মশিয়ার রহমান, ০১৭১২ ০৪ ৬৯ ৮৮ (বিকাশ)

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram