২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম হলেও শৈলকুপায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
মার্চ ১২, ২০২১
26
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পাইকপাড় গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পেঁয়াজ। ক্ষেতেও রয়েছে, যা কৃষক বাড়িতে এনে স্তুপ করে রাখছেন বিক্রির আশায়। পেঁয়াজ সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় অল্প টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন উপজেলার কৃষকরা।

স্থানীয়রা বলছেন, এ উপজেলায় পেঁয়াজের প্রচুর চাষ হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি চাষ হয় পাইকপাড়া গ্রামে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলায় চাষযোগ্য জমি আছে ২৮ হাজার ৫শ হেক্টর। তারমধ্যে এ বছর পেঁয়াজের চাষ হয়েছে ৭হাজার ৮শ ৯০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে শুধু পাইকপাড়া গ্রামে চাষ হয়েছে ৩৫০ হেক্টর জমিতে। বারি-১, লাল তীর, লাল তীর কিংসহ বেশ কয়েকটি জাতের পেঁয়াজ বেশি চাষ হচ্ছে।

এবছর অনেক কৃষক সুখসাগর জাতও চাষ করেছেন। পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির বাইরে মেয়েরা পেঁয়াজ থেকে গাছ কেটে আলাদা করছেন। বাড়ির মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পেঁয়াজ। ঘর-বারান্দা কোথাও একটু খালি জায়গা নেই। শোবার ঘরের খাটের নিচেও পেঁয়াজ।

তিনি জানান, এবছর ৮ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছেন তিনি। এসব জমিতে চাষ করেছেন হাইব্রীড লাল তীরকিং জাত। যার মধ্যে অর্ধেক জমির পেঁয়াজ বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। এখনও মাঠে পেঁয়াজ রয়েছে।তিনি আরও জানান, প্রতি বিঘায় সব মিলিয়ে ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। একবিঘায় (৪০ শতাংশ) ১শ ২০ মণ পেঁয়াজ পাচ্ছেন। যা ১৪ শত টাকা প্রতি মণ দরে বিক্রি করে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা ঘরে আসবে। চর সোন্দহ গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম জানান, তিনিও তার জমিতে এ পেঁয়াজ চাষ করেছেন। ক্ষেত থেকে ৬শ মণ পেঁয়াজ পাবেন বলে তিনি আশা করছেন।

আমিরুল ইসলাম অরো জানান, সরকারিভাবে এ উপজেলায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই। যে কারণে কৃষকরা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারেন না। তাই অনেক সময় সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হন। শৈলকুপার পেঁয়াজ ব্যাবসায়ী রেজাউল বিশ্বাস জানান শৈলকুপা বাজার থেকে ঢাকার কারওয়ান বাজার, ভৈরব, সিলেট, চট্রগাম, খুলনা, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পেঁয়াজ যায়। দেশের চাহিদার বড় একটি অংশের যোগান শৈলকুপা থেকে হয়ে থাকে।

পাইকপাড়া বøকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কোরবান আলী জানান, এ বøকে ৭ হাজার হেক্টর চাষযোগ্য জমি আছে। আর ১৫৬০টি কৃষি পরিবার রয়েছে। এবছর সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। কম-বেশি প্রায় সব পরিবারে রয়েছে পেঁয়াজ। চাষটি ক্রমেই বাড়ছে বলে তিনি জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আক্রাম হোসেন জানান, এ উপজেলায় পেঁয়াজের চাষ বাড়ছে। গত ১০ বছরে এ চাষ বেড়েছে। এবার উপজেলায় পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম। এখানে একটি কোল্ড স্টোর জরুরি।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram