পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২ জনের সহযোগিতায় পূণঃখননকৃত কুমার নদের পাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক প্রকৌশলি ও আরেক কর্মচারির সহযোগিতায় পূণঃখননকৃত কুমার নদের পাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আলমডাঙ্গার হারদী গ্রামের খালপাড়ার ব্রীজ থেকে মিরপুর উপজেলার চকহারদী গ্রামের ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার নদের পাড় ইতোমধ্যে কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে এ চক্রটি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
জানা গেছে, কয়েক বছর পূর্বে আলমডাঙ্গার কুমার নদ পূণর্খনন করা হয়েছে। পূণর্খননকালে নদের বুকের কাদামাটি ড্রেজার দিয়ে কেটে দুই পাড় বেধে দেওয়া হয়। পাড়ের এই মাটির প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে খোদ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আলমডাঙ্গার দায়িত্বে থাকা এক প্রকৌশলি ও আরেক কর্মচারির।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে এলাকার অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আলমডাঙ্গা অঞ্চলে কর্মরত কার্যসহকারী নাজের আলীর সহযোগিতায় হারদী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রিপন আলী দীর্ঘদিন ধরে পূণর্খননকৃত কুমার নদের পাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, “রিপন আলী নদের পাড় কেটে ওসমানপুরের শাহজাহান ও সাইফুলের এস এন্ড এস ইটভাড়ায় বিক্রি করে থাকে। ইটভাটা ছাড়াও সে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট ৪ শ টাকা করে গাড়ি মাটি বিক্রি করে থাকে। ইটভাটায় মাটি বিক্রি টাকা সরাসরি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারি নাজের আলী আদায় করে থাকে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হারদী গ্রামের আরও দুজন ব্যক্তি জানান, “পানি উন্নয়ন বোর্ডের আলমডাঙ্গার উপসহকারী প্রকৌশলি আলমগীর হোসেন এই চক্রের সাথে সরাসরি জড়িত না থাকলেও তার ছত্রছায়ায় কার্যসহকারী নাজের আলী নির্বিঘ্নে এ অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে। রিপন আলী গ্রামে প্রচার করেছে যে, সে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি নিয়েই নদের পাড়ের মাটি বিক্রি করছে। তার সাথে কার্যসহকারী নাজের আলী ও আলমগীর ইঞ্জিনিয়ার আছে।”
নদের পাড় কেটে বিক্রির ব্যাপারে রিপন আলীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি প্রথমে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে বলেন, আমি তো সামান্য কর্মচারি। পানি উন্নয় বোর্ডের লোকজনই মাটি বিক্রি করছে। শেষে তিনি এক দালালের নাম বলে তার সাথে কথা হয়েছে কিনা জানতে চান।