১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পথের জমি নিয়ে মামা ভাগ্নের সৃষ্ট বিরোধের অবসান ঘটনালেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
জুলাই ১৪, ২০২১
35
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


আলমডাঙ্গায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথের জমি নিয়ে মামা ভাগ্নের সৃষ্ট বিরোধের অবসান ঘটনালেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর। আলমডাঙ্গা হাড়গাড়ি গ্রামে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার বিকালে মামা ভাগ্নের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে আলমডাঙ্গা থানায় নজিবুল তার বড়ভাই ও মামাদের নামে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ হাড়গাড়ি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সৃষ্ট বিরোধটি মিমাংসা করে দেন।


জানাগেছে, উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের হাড়গাড়ী গ্রামের ফারাজি পাড়ার বণিক ও তার ভাই শহিদুল ইসলাম তাদের দুই ভাগ্নে নজিবুল ও হাসিবুল মিলে ২৮ শতক ক্রয় করে। ওই জমি প্রায় ৩০ বছর আগে একই গ্রামের রবি বিশ^াসের নিকট থেকে ক্রয় করে মামা-ভাগ্নে ৫ জনের নামে রেজিষ্ট্রি করে। জমি ক্রয়ের পর থেকেই জমির পশ্চিম সাইডে ৬ ফিট রাস্তা ফেলে রাখেন। দুই মামা জমির পিছনের নিয়ে বাড়ি করেন এবং ভাগ্নেদের সামনের দিকে বাড়ি করার জন্য দিয়ে জমি ভাগ করে নেন। ওই রাস্তায় ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধ থেকে বেশ কয়েকবার মাটি ভরাট করে দিয়েছে। দীর্ঘ ৩০ বছর পর ছোট ভাগ্নে নজিবুল ইসলাম এখন আর ওই রাস্তা দিতে রাজি নয়। গত শুক্রবার নজিবুল রাস্তার ঘিরে দেয়। রাস্তা ঘিরে দেওয়াকে কেন্দ্র করে নজিবুলের ভাই ও মামাদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

হাতাহাতির একপর্যায়ে নজিবুল মারধর করে আহত করেছে বলে থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগটি তদন্ত করতে দেন এএসআই মহিউদ্দিনের উপর । বিষয়টি এএসআই মহিউদ্দিন সমাধন করতে না পারলে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর ১৪ জুলাই বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় মহল্লাবাসির জানান, নজিবুলকে ওই দিন কেউ মারধর করেনি। হাতাহাতির কারণে লাগতে পারে। এছাড়াও জানান, ৩০ বছর ধরে তারা যে রাস্তা ব্যবহার করছে সেটাই ব্যবহার করলে সকলের সুবিধা হয়।

পরে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর, এসআই কামরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, এএসআই মহিউদ্দিন, ইউপি সদস্য মাহাবুবুর রহমান মহাবুলসহ গ্রামের শতাধিক মন্ডল মাতব্বর ও সাধারন মানুষ মিলে নজিবুলের জমি না নিয়ে রাস্তা করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। নজিবুলের জমির পাশ দিয়ে রাস্তার যে জমি বণিক ও তার ভাই শহিদুল ইসলাম এবং হাসিবুল ব্যবহার করবে সেই জমি অন্য দিক দিয়ে নজিবুলকে দিয়ে দিবেন।


এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর বলেন, বাড়ি থেকে বের হওয়া পথের জমি নিয়ে আলমডাঙ্গা হাড়গাড়ী গ্রামের দুই মামা ও বড় ভাই মিলে নজিবুল নামের এক ব্যক্তিকে কয়েকদিন আগে মারধর করে বলে থানায় অভিযোগ করেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত মামলা করতে চাইলে সঠিক মনে না হওয়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ঘটনাটি সঠিক না হওয়ায় গ্রামের মন্ডল মাতব্বরদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram