দীর্ঘ ১৫ বছর সাজা ভোগ করে মুক্তি পেলেন ফেরাতুল ইসলাম
মেহেরপুর প্রতিনিধি \ ফেরাতুল ইসলাম দীর্ঘ ১৫ বছর সাজা ভোগ করে সোমবার মেহেরপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন। জীবনের ভুলগুলো তিনি বুঝতে পেরেছেন এবং তিনি অনুতপ্ত। কারাগারে থাকা কালে দুবার স্ট্রোক হয় তার। এখন সে প্রতিবন্ধী। কোন রকমে নিজের চলা চলতে পারেন। স্বাভাবিক পরিবেশে চলতে তিনি অনেকটা অপ্রস্তুত। ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত। বাবা মা অনেক আগেই মারা গিয়েছে। এখন একমাত্র আশ্রয় স্থল হলো তার বোনের বাড়ি।
ফেরাতুল ইসলাম মুজিবনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ইংরেজ আলীর ছেলে। একটি বিস্ফোরণের মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ফেরাতুলকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয় আদালত। ওই মামলায় ফেরাতুল ১৫ বছর সাজা খাটার পর কারাগারে ভালো কাজ করায় তার সাজা ৫ বছর কমিয়ে ১৫ বছর পর মুক্তি দেয়া হয়।
জেল সুপার মকলেছুর রহমান বলেন, ফেরাতুল এর মত মানুষের পাশে সদাশয় সরকার সব সময়ে রয়েছে। মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির নির্দেশে এবং জেলা প্রশাসক ড. মো: মুনসুর আলম খানের প্রচেষ্টায় সমাজসেবা অধিদপ্তর হতে ফেরাতুলকে তাৎক্ষণিকভাবে ১২০০০ টাকার আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। তাকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং চিকিৎসা সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত থাকবে। তার স্থায়ী আবাসের ব্যবস্থার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফেরাতুল আমাদের সমাজেরই অংশ। মাঝে কিছুদিন পথভ্রষ্ট হয়ে অন্য জগতে গিয়েছিল। এখন এই ফেরাতুল কে আমরা সবাই মিলে সমাজের মূল ¯্রােতধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসি।
সোমবার দুপুরে ফেরাতুল মেহেরপুর কারাগার থেকে বের হয়ে আসলে জেলগেটেই তাকে মেহেরপুর সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তুষার কুমার পাল উপস্থিত থেকে ফেরাতুলের হাতে নগদ ১২ হাজার টাকা তুলে দেন।
এ সময় জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের, প্রফেশনাল অফিসার সাজ্জাদ হোসেন, জেলার (ভারপ্রাপ্ত)সৈয়দ হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।