২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দরজা বন্ধ করে সাংবাদিককে লাঠি দিয়ে পিটানোর হুমকি দিলেন কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
জুলাই ২৪, ২০২২
20
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : এই দরজাটা দাও তো একটা লাঠি নিয়ে এসো তো বড় দেখে। উল্টা-পাল্টা কথা বলবেননা। আপনি আমাকে চেনেন। এ অফিসে চাকরী করেন। কথা খুব সাবধানে বলবেন। এই এ দিকে আস দরজাটা বন্ধ কর উল্টা-পাল্টা কথা বললে আমি পিটাবো। আরে রাখ। কথা গুলো বলছেন দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। এভাবেই তিনি নিজ অফিস কক্ষে সাচাচ্ছেন দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি শামীম রেজাকে। সাংবাদিক ২০২১-২২ অর্থ বছরে রবি মৌসুমের ফলো আপ পিয়াজ বীজের তথ্য চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন কৃষি কর্মকর্তা। রোববার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

সাংবাদিক শামীম রেজা একই দিন বিকালে এ ঘটনায় দামুড়হুদা থানায় কৃষি অফিসার মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

সাংবাদিক শামীম রেজা দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আফরাফ আলীর ছেলে।

সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে শামীম রেজা দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্য্যলয়ে যান। এ সময় ২০২১-২২ অর্থ বছরের রাজস্ব প্রকল্পের রবি মৌসুমের পিয়াজের ফলআপ বীজের তথ্য চান। তথ্য চাওয়া পরই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। বিষয়টি আমি ঢাকা অফিসকে জানালে তাদের সহায়তায় সেখান থেকে উদ্ধার হয়।

শামীম রেজা দামুড়হুদা থানায় কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের নামে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নং- ১৩৯৩।

দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি শামীম রেজা বলেন, মো. মনিরুজ্জামান একজন কর্মকর্তা হয়ে এ ধরনের আচরণ করবে আমি ভাবতে পারেনি। তথ্য চাওয়ায় তিনি আমার উপর কোন কারণ ছাড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এ ধরনের আচরণ করেন। আমাদের সাথে যদি এ ধরনের আচরণ করে তা হলে অন্যদের সাথে কি করেন?

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এর আগে একদিন তিনি টাকার কথা বলেন। শামীম নামের সাংবাদিক আজকে(রোববার) অফিসে আসলে বিষয়টি ওসি সাহেবকে জানিয়েছি। আজকেও সে টাকার সুর তুলছিল। সাংবাদিকের হুমকির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

দামুড়হুদা থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদের কাছে জানতে চাওয়া হলে বলেন, থানায় তো অনেক জিডি হয়। কোন জিডির কথা বলছেন। সাংবাদিক একটা জিডি করেছে। জিডির তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন নবী বলেন, কৃষি অফিসার সবার সাথে খারাপ আচরণ করেন। তথ্য পাওয়ার অধিকার সবার আছে। তথ্য দিতে চায়না কোন সময়। সব প্রকল্পে অনিয়ম করে কৃষি অফিসার। দূর্ণীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিস। কৃষি অফিসারের বিরুদ্ধে সবার সোচ্চার হতে হবে এখনই। কৃষি কর্মকর্তা আমারও হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলো। সাংবাদিক তথ্য চাইলেই তার চোখে অপরাধী হয়ে যায়।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালকের বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, বিষয়টি জানার পর তার কাছে জিজ্ঞাসা করেছি। সে অস্বীকার করেছে বিষয়টি। খতিয়ে দেখা হবে বলে দায় এড়িয়ে গেলেন।

উল্লেখ্য, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন নবী কয়েক মাস আগে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে তথ্য চান। তথ্য চাওয়ায় প্রেসক্লাব সভাপতির হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দেন কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান। সে সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যস্তায় ক্ষমা চেয়ে পার পান তিনি।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram